সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এই মুহূর্তে টিনসেল টাউনে করণ জোহরকে নিয়ে বিরাট চর্চা। তাঁর নাটকীয় ভাবে রোগা হওয়ার রহস্য খুঁজছে সবাই। আর সেই চর্চাতেই উঠে এসেছে একটা নাম। ওজেমপিক। এটি আসলে ডায়াবেটিসের ওষুধ। কিন্তু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় হু হু করে কমিয়ে দেয় ওজন। বলা হচ্ছে কেবল 'কুছ কুছ হোতা হ্যায়'-এর পরিচালকই নয়, বহু মানুষই ইদানীং ওজন কমাতে এই ধরনের ড্রাগ গ্রহণ করছেন। কিন্তু এর ফলে হতে পারে ভয়ানক। তেমনই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
'ফ্যাবুলাস লাইভস অফ বলিউড ওয়াইভস' নামের এক শোয়ে মাহিপ কাপুর দাবি করেন, এভাবে ওজেমপিক খেলে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ওই ওষুধে ঘাটতি পড়ে যাবে। যদিও করণ জোহর দাবি করেছেন, তিনি ওই ড্রাগ গ্রহণ করে রোগা হননি। বরং তাঁর স্বাস্থ্যের উন্নতির পিছনে রয়েছে নিয়ম নেমে চলা এবং ঠিকমতো খাওয়াদাওয়া করা।
তবে করণ জোহর ওই ওষুধ খেয়ে রোগা হোন বা না হোন, বহু মানুষই যে ওজেমপিকের মতো ওষুধ খান তা সত্যি। এবং এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় সাংঘাতিক। এমনকী, নিয়মিত এটা খেলে হতে পারে থাইরয়েড টিউমার। হতে পারে থাইরয়েড ক্যানসারও। এছাড়াও কিডনির ক্ষতি করে দেয় এই ধরনের ওষুধ। সেই সঙ্গে পেটে অসহ্য ব্যথা, ডায়রিয়া, আচমকাই ব্লাড সুগার কমে যাওয়ার মতো বিপত্তিও ঘটতে পারে যখন তখন। এমনকী, গলব্লাডার ইস্যু, অ্যালার্জিও হতে পারে।
চিকিৎসকরা বলছেন, এই ধরনের ওষুধ খেয়ে সমস্যায় পড়লে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। সেই সঙ্গে খেতে হবে প্রচুর পরিমাণে জল। আসলে অধিকাংশ মানুষই বোঝেন না স্থূলত্ব একটা মেডিক্যাল কন্ডিশন। আর তাই এর চিকিৎসা করানোরও প্রয়োজন বোধ করেন না। বরং ওষুধ খেয়ে শর্টকাট পদ্ধতিতে রোগা হতে যান। এতেই ঘটে বিপত্তি। এই ধরনের ফাঁদে পা না দেওয়ারই পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।