সুব্রত বিশ্বাস: দেশজুড়ে হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। আক্রান্ত বহু রেলকর্মীও। এহেন সংকটকালে সংক্রমণ বাড়ার নেপথ্যে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকেই দায়ী করেছে কর্মী সংগঠন।
[আরও পড়ুন: ভয়ভীতির জলাঞ্জলি! করোনা আক্রান্তের বাড়ি থেকে সর্বস্ব লুট করল চোরের দল]
পূর্ব রেলের তিনটি ওয়ার্কশপ ও লাইনে একশো শতাংশ কর্মীদের কাজে লাগানোর জন্য সামাজিক দূরত্ব মানা যাচ্ছে না। সংস্পর্শে বাড়ছে সংক্রমণ। এই অভিযোগ তুলে পূর্ব রেলের মেনস ইউনিয়ন আগামী সপ্তাহে নীতি পরিবর্তন না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অমিত ঘোষ অভিযোগ করেন, লিলুয়া ওয়ার্কশপে করোনা আক্রান্ত ২৩ জন, কাঁচড়াপাড়ায় ১৮ জন, জামালপুরে ১৪ জন কর্মী আক্রান্ত। লাইনের কাজ করছে এমন বহু কর্মীও আক্রান্ত। আধিকারিকদের কম কর্মীদের নিয়ে কাজ করার আবেদন করেও কোন ফল হয়নি। বিক্ষোভ করেও বাড়ানো যায়নি। বরং লিলুয়া ওয়ার্কশপের চিফ ওয়ার্কস ম্যানেজার তাঁদের বলেছেন, সুস্বাস্থ্যের অধিকারী কর্মীদের কখনওই করোনা ছুঁতে পারবে না। যাঁদের শরীর স্বাস্থ্য ভাল নয় তাঁরা ছুটি নিয়ে নিন। এটাকে চরম অনৈতিক বলে ব্যাখ্যা করে আমিত ঘোষ বলেন, “জিএম আগামী সোমবার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। পরিস্থিতি না বদলালে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে ইউনিয়ন।” ওয়ার্কশপে একশো শতাংশ হাজিরায় হাওড়া ও শিয়ালদহের লোকালগুলিতে গাদাগাদি ভিড় হচ্ছে। ফলে রেলের অন্য বিভাগের কর্মীদেরও সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে বলে কর্মীদের অভিযোগ।
উল্লেখ্য, আনলকের দ্বিতীয় পর্যায়ের শুরু থেকেই হুড়মুড়িয়ে বাড়ছে করোনা (Coronavirus) সংক্রমণ। রোজই পশ্চিমবঙ্গে সংক্রমণের নয়া রেকর্ড তৈরি হয়েছে। দ্রুত বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এমন পরিস্থিতিতে ফের রাজ্যে লকডাউন (Lockdown) জারি করা হয়। তবে রাজ্যের সর্বত্র নয়। বিভিন্ন জেলার কনটেনমেন্ট জোনগুলিতে (Containment Zone) কড়াকড়িভাবে লকডাউন পালন করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন, বড় এলাকা নয়, বরং বাড়ির ঠিকানা ও রাস্তার নাম ধরে ধরে কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হবে।
[আরও পড়ুন: লুকিয়ে করোনায় মৃতের দেহ সৎকারের অভিযোগে ধুন্ধুমার, পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ জনতার]
The post স্বাস্থ্য ভাল থাকলে করোনা হবে না, রেল আধিকারিকের আজব দাবিতে ক্ষুব্ধ কর্মীরা appeared first on Sangbad Pratidin.