নব্যেন্দু হাজরা: এখনও চৈত্র মাস কাটেনি। তার মধ্যেই দুপুর বেলা চাঁদিফাটা রোদ। গরমে রীতিমতো গা জ্বালা দিচ্ছে। একাধিক জেলার তাপমাত্রা তো ৪০ ডিগ্রি ছুঁইছুঁই। এই পরিস্থিতি এখনই বদলাচ্ছে না, বলছে আবহাওয়া দপ্তর (MeT Office)। বরং একাধিক জেলায় চলতি সপ্তাহেই তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। হাসফাঁস করা গরমে পুড়বে বাংলা।
[আরও পড়ুন: বিমানে উঠতে দেওয়া হল না ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে, কান্নায় ভেঙে পড়লেন অভিনেত্রী!]
গত কয়েকদিন ধরেই রোদের তেজ ঊর্ধ্বমুখী। বাড়ছে তাপমাত্রাও। মঙ্গলবারও পরিস্থিতির বদল হয়নি। পশ্চিমাঞ্চলের একাধিক জেলায় পারদ ৪০ ছুঁইছুঁই। জঙ্গলমহলের ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম বর্ধমান, পুরুলিয়ার তাপমাত্রা ছিল ৩৮ ডিগ্রির বেশি। সেই তুলনায় কলকাতার তাপমাত্রা ছিল অনেকটাই কম। এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপাতত বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই।
হাওয়া অফিস বলছে, কালবৈশাখি না হলে এই পরিস্থিতি চলবে আরও কিছুদিন। সঙ্গে বাড়বে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। এমনকী, পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপপ্রবাহের সতর্কতা রয়েছে। বুধ এবং বৃহস্পতিবার পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম-সহ একাধিক জেলায় ‘লু’ বইতে পারে। তবে কলকাতাতে এখনই এমন পরিস্থিতি হওয়ার আশঙ্কা নেই। পাশাপাশি,চিকিৎসকরাও সতর্ক করছেন আবহাওয়ার এমন ভোলবদলের জেরে একাধিক রোগের প্রার্দুভাব ঘটতে পারে। জ্বর-সর্দি-পেট খারাপের মতো লক্ষ্মণ দেখা যেতে পারে এই সময়। তাই সতর্ক থাকতে হবে।
[আরও পড়ুন: বাসন্তীতে বোমা বিস্ফোরণ, আগুনে পুড়ল বাড়ি, এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক]
দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহের আশঙ্কা থাকলেও উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি হতে পারে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। বিহারের উপর এক ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। যার প্রভাবে উত্তরের জেলাগুলিতে সামান্য বৃষ্টি হতে পারে।