সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একদিকে যখন তীব্র দাবদহে পুড়ছে দক্ষিণবঙ্গ, সেখানে অন্যদিকে লাগাতার প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তর সিকিম। একাধিক রাস্তায় ধস নামার জেরে আটকে পড়েছেন অন্তত দু’হাজার পর্যটক। কীভাবে বাড়ি ফিরবেন? চিন্তায় চিন্তায় সময় কাটছে তাঁদের।
ইতিমধ্যেই নর্থ বা উত্তর সিকিমে (North Sikkim) প্রবেশ করেছে বর্ষা। যার জেরে রাতভর অতি ভারী বৃষ্টিতে ফুলে-ফেঁপে উঠেছে একাধিক পাহাড়ি নদী। সেই জলেই ভাসছে রাস্তা। বেশ কিছু জায়গায় ধস নেমেছে। ১০ নং জাতীয় সড়কে ধস নামায় লাচুং, লাচেন, ইয়ুমথাংয়ের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। পেগংয়ের কাছেও ধসে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। মানগন থেকে চুংথাংয়ের রাস্তা আপাতত পুরোপুরি বন্ধ বলে জানা গিয়েছে। না থুলা, ছাংগুর পথে যাওয়াতেও জারি নিষেধাজ্ঞা। আর এহেন ভয়ংকর পরিস্থিতির মধ্যেই ঘুরতে গিয়ে আটকে পড়েছেন কমপক্ষে ২০০০ পর্যটক।
[আরও পড়ুন: মনোনয়নে নিরাপত্তা দিতে ‘ব্যর্থ’ পুলিশ, ভাঙড় ও বসিরহাট নিয়ে রিপোর্ট তলব হাই কোর্টের]
আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধার কাজে নেমেছে সেনা। রাস্তা সাফাইয়ের কাজও চলছে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে। কিন্তু ক্রমাগত বৃষ্টিতে সেই কাজ করতেও রীতিমতো বেগ পেতে হচ্ছে। এদিন নর্থ সিকিম থেকে পর্যটকদের বেরনোর অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না সিকিম প্রশাসনের তরফে।
সিকিমের একাধিক এলাকায় পর্যটকদের ভ্রমণের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বাস্তবে সবক্ষেত্রে তা মানা হয় না। সম্প্রতি তুষার ধসে সাত পর্যটক প্রাণ হারানোর পর তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। গতমাসে আবার তুষারঝড়ে আটকে পড়েছিলেন ৪০ পর্যটক। তাঁদের উদ্ধার করেছিল ভারতীয় সেনা ও বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন (BRO)। চলতি বছরে এই নিয়ে পঞ্চমবার প্রাকৃতিক দুর্যোগে আটকে পরা পর্যটকদের উদ্ধারের জন্য নেমেছে সেনা ও বিআরও।