সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কে বলেছে, সাগরবেলায় ঝিনুক খোঁজার ছলেই শুধু যাওয়া হয়?
আসলে তো উদ্দেশ্যটা অন্য। ক্লান্ত মনে সমুদ্রের বিশালতা ভরে নেওয়া! নোনা হাওয়ায় উড়ে যাওয়া বালির সঙ্গে দুশ্চিন্তা, অবসাদকেও ভাসিয়ে দেওয়া!
সে দিক থেকে দেখলে, নির্জনতার হাত ছুঁতে বেরিয়ে পড়ুন ঘর ছেড়ে। চলে আসুন খুব কাছেই হেনরির দ্বীপে।
শোনা যায়, হেনরি নামে এক জমি জরিপের কর্মচারী এই জায়গাটা আবিষ্কার করেন। তাই, তাঁর নামেই নামকরণ হয় হেনরি আইল্যান্ড। পরে, আশির দশকের মাঝামাঝি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আনুকূল্যে হেনরি আইল্যান্ড হয়ে ওঠে ভ্রমণার্থী এবং নির্জনতাকামীদের স্বর্গ!
দ্বীপে পা ফেললেই টের পাবেন কথাটা। দিগন্ত জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে রুপোলি বালি, পাশ ঘেঁষে খুনসুটি করে চলেছে সাগরজলের তরঙ্গ। মাঝে মাঝে ম্যানগ্রোভ জাতের গাছেরা দাঁড়িয়ে আছে মাথা তুলে। আপনার সঙ্গে নির্জনতা ভাগ করে নেওয়ার জন্য। হাজার খুঁজলেও তাই চট করে কোনও মানুষ বা প্রাণীর দেখা পাবেন না সাগরতটে।
তাই বলে যদি ভাবেন, শুয়ে-বসে থাকা ছাড়া কিছুই করার নেই হেনরি আইল্যান্ডে, তাহলে কিন্তু আপনার ধারণা ভুল! নৌকা নিয়ে হেনরি আইল্যান্ড থেকে চলে যেতে পারেন মোহনায়, যেখানে সাগরের বুকে নদী মিশেছে! প্রায় ঘণ্টা দুয়েক সাগরের বুকে এই নৌকাসফর বড় কম পাওনা নয়।
মন চাইলে ঘুরে আসতে পারেন কাছের জম্বু দ্বীপ থেকেও। সেখানে মাথার উপর জেগে থাকবে এক আকাশ ভরা পাখিরা। শীতকালে গেলে চোখে পড়বে পরিযায়ীদের দলও!
আরও ভ্রমণপিপাসা জাগলে ঘুরে আসতে পারেন কাছেপিঠের ভগবতপুর কুমির অভয়ারণ্য থেকে। নিজে চোখে দেখে আসুন, কেমন ভাবে বেড়ে উঠছে কুমিররা!
সব মিলিয়ে যখন ফিরে আসবেন, খুঁজে পাবেন নতুন নিজেকে!
কী ভাবে যাবেন: শিয়ালদহ স্টেশন থেকে লক্ষ্মীকান্তপুর লোকাল ধরে নামুন নামহাটায়। সেখান থেকে ফেরিতে হাতানিয়া-দোয়ানিয়া নদী পেরিয়ে, একটা ভ্যানে পৌঁছে যান হেনরি আইল্যান্ডে। সড়কপথে আসতে চাইলে ধর্মতলা শহিদ মিনারের নিচ থেকে বাস ধরে পৌঁছে যান নামহাটায়। তার পর বাকিটা এক!
কোথায় থাকবেন: ম্যানগ্রোভ আর সুন্দরী নামে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ফিশারি ডিপার্টমেন্টের দুটো লজ রয়েছে একেবারে সাগরতট ঘেঁষেই!
কী খাবেন: বলাই বাহুল্য, প্রচুর সামুদ্রিক মাছ, কাঁকড়া, চিংড়ি দিয়ে সারতে পারবেন মনের মতো আহার। শুধু পৌঁছে গিয়েই বাকিটা দেখুন!
The post সপ্তাহান্তে হেনরির রুপোলি বালুকাবেলায় appeared first on Sangbad Pratidin.