শখের তাগিদে শুধুই বন-জঙ্গলে ঘুরে বেড়ানো নয়, সবুজ-বনানী ভালবাসলে ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হওয়ার সম্ভবনা। উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি, দেশ-বিদেশে কাজের সুযোগ, খোঁজ দিলেন অনিন্দ্য সিংহ চৌধুরি।
বন ও পরিবেশ দারুণ লাগে। যদি ইচ্ছে হয় ভবিষ্যতে বন বা ফরেস্ট্রি নিয়ে পড়ার, তাহলে কিন্তু এ রাজে্য এ বিষয়ে ভালো সুযোগ আছে। তবে উচ্চমাধ্যমিকের পর স্নাতক স্তরে সরাসরি ফরেস্ট্রি নিয়ে তেমন সুযোগ নেই। এমনকী, ভারতের বেশিরভাগ কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর স্তরেই এই বিষয়টি নিয়ে পড়ার সুযোগ মিলবে। এটাও ঠিক কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবশ্যই ফরেস্ট্রি নিয়ে স্নাতক করা যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ফরেস্ট্রি নিয়ে যদি উচ্চশিক্ষা করা যায় তাহলে ভবিষ্যতে চাকরি পেতে সুবিধা হবে। শুধু চাকরি নয়, ফরেস্ট্রি নিয়ে এ রাজে্য তো বটেই ভারতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পিএইচডি করা যায়। সবচেয়ে বড় ব্যাপার,
বিদেশে এ বিষয় নিয়ে প্রচুর পড়াশোনার সুযোগ আছে। তাই এখন বহু ছাত্রছাত্রী আগ্রহ দেখাচ্ছে।
পড়ার যোগ্যতা
স্নাতকস্তরে ফরেস্ট্রি নিয়ে পড়ার জন্য বিজ্ঞান নিয়ে উচ্চমাধ্যমিক পাস করতেই হবে। বিশেষ করে বায়োলজি রাখলে ভাল হয়। তবে স্নাতক স্তরে এগ্রিকালচার বা হর্টিকালচার বিষয় থাকলে স্নাতকোত্তরে ফরেস্ট্রি পড়তে সুবিধা হয়। এ বিষয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নানা ধরনের নিয়ম রয়েছে। কোথাও স্নাতকের নম্বরের সঙ্গে প্রবেশিকা পরীক্ষার মাধ্যমে পড়ুয়াদের নির্বাচন করে, কোথাও স্নাতকের নম্বরের উপর ভিত্তি করে মাস্টার্সে ভর্তি নেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: ফিল্মমেকার হতে চান? কোন পথে এগোলে মিলবে সাফল্য?]
কোথায় পড়ার সুযোগ
এ রাজে্যই যেমন উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফরেস্ট্রি নিয়ে মাস্টার্স করতে পারে ছাত্রছাত্রীরা। অন্য রাজে্যর মধে্য যেমন, কুমায়ুন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক এবং মাস্টার্স পড়া যায়। ওড়িশা ইউনিভার্সিটি অফ এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজিতে এমএসসি করা যায়।
হয় ডিপ্লোমাও
মাস্টার্স নয়, ডিপ্লোমা করার ইচ্ছে থাকলে ভোপালের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ফরেস্ট ম্যানেজমেন্ট থেকে ফরেস্ট্রি ম্যানজমেন্টে ডিপ্লোমা করা যায়। প্রবেশিকা পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থী
নির্বাচন হয়।
স্পেশালাইজেশনের তথ্য
অনেক প্রতিষ্ঠান এ বিষয়ে স্পেশালাইজেশন করায়। বিষয়গুলি হল, উড সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, অ্যাগ্রোফরেস্ট্রি, ফরেস্ট প্রোডাক্টস অ্যান্ড ইউটিলাইজেশন, এনভায়রনমেন্ট ম্যানেজমেন্ট, ওয়াটারশেড ম্যানেজমেন্ট, সিলভিকালচার-সহ অনেক।
গবেষণার সুযোগ
এ রাজে্যর পাশাপাশি বেঙ্গালুরুর ইনস্টিটিউট অফ উড সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, জোরহাটে রেন ফরেস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট, হায়দরাবাদের ফরেস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটে গবেষণা
করা যায়।
কাজ কোথায়
চাকরির সুযোগ তো প্রচুর। ফরেস্ট অফিসার থেকে বনদপ্তরের নানা পদে কাজ মেলে। বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থায় কাজ পাওয়া যায়। তাই ফরেস্ট্রি নিয়ে পড়লে কাজের অভাব হবে না।