ফুট বাথের মাধ্যমে সারাদিনের ক্লান্তি দূর করার উপায় জানালেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফিটনেস স্টাডিজের সিইও রূপম সিনহা। শুনলেন প্রীতিকা দত্ত।
প্রচণ্ড কর্মব্যস্ত জীবনে শরীরের সমস্ত ভার যে অঙ্গ বহন করে তার জন্য কতটা সময় দিচ্ছেন? সেই পদযুগল নিয়ে কোনওদিনও ভেবেছেন? ন’মাসে ছ’মাসে একটা পেডিকিওর নয়। মাঝে মধ্যে পায়েরও একটু ‘মি-টাইম’ চাই। যেটা দিতে পারেন আপনি নিজেই। সেটা রাতে হোক বা ভরদুপুরের ভাতঘুমের পর। পায়ের আরামের জন্য কিন্তু বেশি কিছুর প্রয়োজন নেই। একটু এপসম নুন অথবা একটু শ্যাম্পু কিংবা স্কিন কন্ডিশনার পেলেই যথেষ্ট। কী হবে তা দিয়ে। ফুট বাথ। এতেই আরাম পাবে আপনার পা দু’টি।
কিছুদিন আগেও বাড়ির মা-বোনেরা এতটা নিজেদের নিয়ে ভাবতেন না। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা নিজেদের শরীর নিয়ে সচেতন হয়েছেন। পেডিকিওর, ম্যানিকিওরের পাশাপাশি ফুট বাথের চল বেড়েছে। এর জন্য ১৫ থেকে ২০ মিনিটই যথেষ্ঠ।
একটি গামলায় হালকা উষ্ণ জলে কয়েক চিমটে এপসম নুন দিয়ে পা ডুবিয়ে বসে থাকুন। খানিকক্ষণ করে ঠান্ডা জলে পা ধুয়ে মুছে একটা ময়শ্চারাইজার লাগান। ফুট বাথের সময় গরম জলে অ্যারোমাটিক এসেন্সিয়াল অয়েল (ল্যাভেন্ডার, রোজমেরি, উইন্টারগ্রিন ইত্যাদি) দিতে পারেন।
[আরও পড়ুন: প্রতিদিন মাস্ক বদলান, লোকাল ট্রেনের যাত্রীদের নয়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ চিকিৎসকদের]
রাতে শোয়ার আগে ফুট বাথ নিলে ফল পাওয়া যায় সবচেয়ে ভাল। এসেন্সিয়াল অয়েলের গন্ধে ব্রেনও আরাম পায়। রাতে ফুট বাথ নিয়ে লম্বা ঘুম দিলেই পরেরদিন সকালের কাজের জন্য এক্কেবারে রেডি। ম্যাজিকের মতো কাজ করে ফুট বাথ। সামনেই তো আবার শীতকাল। পা ফাটার সমস্যাতেও ভীষণভাবে কাজে দেবে। পায়ের মৃত কোষ রিমুভ করার জন্য গরম জলে একটু ভিনিগার দিতে পারেন। এবং পাতিলেবুর রস ও এপসম সল্ট নিয়ে পায়ের গোড়ালির বা তালুতে ঘষে নিতে পারেন।
এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, ফুট বাথ কিন্তু পুরোটা মনের শান্তির জন্য নয়। এতে পায়ের রক্ত সঞ্চালন বাড়ে, তাই মন ভাল থাকে। আর দুশ্চিন্তা কমে। পায়ের পেশিতে ব্যথা থাকলে তাতেও আরাম মেলে ফুট বাথ নিলে। ত্বক উজ্জ্বল হয় এবং ছত্রাকজাতীয় সংক্রমণ হলেও তা থেকে পা-কে রক্ষা করে। অনেকের আবার মোজায় দুর্গন্ধ হয়। পা-ঢাকা জুতো পরলে আঙুলের ফাঁকে ঘাম জমে। নিয়মিত বাড়িতে অন্তত ১৫-২০ মিনিট ফুট বাথ নিলে উপকার পাওয়া যায়।