সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কড়া বিধিনিষেধ আর টিকাকরণে জোর দিয়ে এ দেশে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে করোনা পরিস্থিতি। কিন্তু চিন, দক্ষিণ কোরিয়া, ইউরোপের একাধিক দেশে নতুন করে চোখ রাঙাচ্ছে এই মারণ ভাইরাস (Coronavirus)। এক বছরেরও বেশি সময় পর ফের কোভিড-১৯-এ প্রাণহানি ঘটেছে চিনে। আর এই বাড়বাড়ন্তের নেপথ্যে ওমিক্রনের নয়া ভ্যারিয়েন্ট ‘স্টেল্থ ওমিক্রন’। যাকে সহজ করে বললে বলা যায় অদৃশ্য ওমিক্রন। কতটা ক্ষতিকারক এই নয়া স্ট্রেন? এর উপসর্গই বা কী? চলুন জেনে নেওয়া যাক বিশেষজ্ঞরা কী জানাচ্ছেন।
বর্তমানে ভারতের করোনা গ্রাফ স্বস্তিজনক হলেও চলতি বছরেই আছড়ে পড়তে পারে সংক্রমণের চতুর্থ ঢেউ। তাই আগের মতোই কোভিডবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। আর সেই কারণেই মাথাচাড়া দেওয়া স্টেল্থ ওমিক্রন (Stealth Omicron) নিয়ে সতর্ক করা হচ্ছে প্রত্যেককে।
[আরও পড়ুন: ‘বাংলায় হেরে বদলা নিচ্ছে BJP, সুপ্রিম কোর্টে যাব’, ইডির তলবে দিল্লি যাওয়ার আগে হুঙ্কার অভিষেকের]
কী এই স্টেল্থ ওমিক্রন?
অতি সংক্রামক ওমিক্রনেরই সাব-ভ্যারিয়েন্ট হল স্টেল্থ ওমিক্রন। বিজ্ঞানের ভাষায় একে BA.2 ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট বলা হয়। ডেনমার্কের স্ট্যাটেন্স সেরাম ইনস্টিটিউটের (SSI) গবেষণা বলছে, নিজের পূর্বসূরির থেকেও দেড় গুণ বেশি দ্রুত ছড়াতে পারে স্টেল্থ ওমিক্রন।
ওমিক্রনের সঙ্গে এর পার্থক্য কী?
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই ভ্যারিয়েন্টের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল, এটি সহজে ধরা পড়ে না। RT-PCR টেস্টেও অনেক সময় চিহ্নিত করা যায় না স্টেল্থ ওমিক্রনকে। আসলে এই ভাইরাসের প্রোটিনই নমুনা পরীক্ষায় ধরা পড়ে যায়। কিন্তু স্টেল্থ ওমিক্রনের স্পাইক প্রোটিন মিউটেড হয় না বলেই এটিকে বাগে আনা কঠিন।
উপসর্গ কী?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) বলছে, স্টেল্থ ওমিক্রনের ক্ষেত্রে জ্বর, চূড়ান্ত ক্লান্তি, কাশি, গলা ব্যথা, মাথা ব্যথা, পেশি ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। তাই এই ভ্যারিয়েন্ট থেকে সুরক্ষিত থাকতে করোনাবিধি মেনে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ।