জিনিয়া সরকার: কানে জল ঢুকলে, তারপর স্নানের সময় কানে জল ঢুকে বিভ্রান্তিতে পড়েননি, এমন মানুষের সংখ্যা কমই। ব্যস, দিবা-রাত্র কানে ভোঁ-ভোঁ শব্দ। যদি জল না বের হয় তাহলে কিন্তু ঝামেলা বেশ বড়। হয়তো তখনই বোঝা যায় না, কিন্তু পড়ে গিয়ে ব্যথা, কান ভারী, কানে পুঁজ, রক্ত বেরনো ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয়। তাই সাধারণ ব্যাপার নয়, কানে জল ঢুকে যাওয়া।
প্রথমেই যা করবেন
নিশ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে জল বের করতে হবে। একটা লম্বা শ্বাস নিয়ে আঙুল দিয়ে নাকের ফুটো বন্ধ করে নিশ্বাস ফেলার চেষ্টা করুন। কান থেকে আপনিই জল বেরিয়ে যাবে।
চুইংগাম খান। খাবার চিবনোর সময় যে মুভমেন্ট তৈরি হয়, সেটা বন্ধ কান খুলতে সহায়ক।
গ্র্যাভিটিকে কাজে লাগানো দরকার। যে কানে জল ঢুকেছে, সেই দিকে মাথাটি কাত করুন। তারপর হাতের তালু রাখুন কানের ওপরে এবং চাপ দিন। চাপ দিয়েই হাতটি সরিয়ে নিন। দেখবেন খানিকটা জল বেরিয়ে গেছে। এভাবে বেশ কয়েকবার করুন। জল বের হয়ে কান বন্ধ হওয়ার সমস্যা দূর হবে।
[আরও পড়ুন: সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের! স্বামীকে খুন করে মাটিতে ‘পুঁতলেন’ স্ত্রী, সঙ্গী ছেলে-মেয়েরা]
এরপরও সমস্যা হতে পারে
কানে জল ঢুকে তা বেরিয়ে গেলেও সেই জল থেকে কানের ভিতরে এক ধরনের ফাংগাল ইনফেকশন হয়, যাকে অটোমাইকোসিস বলে। ঠান্ডা লাগলে, সর্দি বা অ্যালার্জি থেকে অনেক সময় নাক ও কানের পিছনদিকে সংযোগস্থলের ইউস্টেশিয়ান টিউবে হাওয়া চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে কানের পর্দার ভিতরে থাকা কিছু তরল বেরোতে থাকে। যার ফলে অনেকের মাথা নাড়লেই কানের মধ্যে সবসময় জল রয়েছে বলে মনে হয়। নেসোফেরিংসে ক্যানসার হলেও এক কানে জল ঢোকার মতো অনুভূতি হয়।
কারণ বুঝে চিকিৎসা
সাধারণত জল ঢুকলে তা বেরিয়ে যায়। কিন্তু কারও যদি অনবরত জল বেরোনোর অনুভূতি হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। পাশাপাশি রোগীর শ্রবণশক্তি কমে যাচ্ছে কি না সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। প্রয়োজন মতো টেস্ট করে তারপর যথাযথ চিকিৎসা দরকার। তাই জল ঢুকেছে এটা ভেবে দীর্ঘদিন বসে থাকলে কিন্তু বিপদ, সতর্ক করলেন ইএনটি বিশেষজ্ঞ ডা. সোমনাথ সাহা।