সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অদূর ভবিষ্যতে তাঁর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীরা অন্তত দেখতে পান না। নিজের দলের অন্দরে বা জোটসঙ্গীদের মধ্যেও অনেকে তাঁর প্রধানমন্ত্রী হওয়া নিয়ে সন্দিহান। কিন্তু রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) আগেভাগে পরিকল্পনা করে ফেলেছেন প্রধানমন্ত্রীর কুরসি পেলে কোন কাজটি তিনি সবার আগে করবেন।
দিওয়ালিতে রাহুল গান্ধী তামিলনাড়ুর এক স্কুলের ছাত্রদের নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। আসলে, তামিলনাড়ুর ভোটপ্রচার চলাকালীন ওই স্কুলেই একটি সভা করেছিলেন রাহুল। তখনই পড়ুয়াদের নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছিলেন। শনিবার ওই পড়ুয়াদের সঙ্গে রাহুলের নৈশভোজের একটি ভিডিও কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলগুলিতে পোস্ট করা হয়। সেখানেই একজন অতিথি কংগ্রেস (Congress) নেতাকে প্রশ্ন করেন, প্রধানমন্ত্রী হলে সবার প্রথমে আপনি কী করবেন? সঙ্গে সঙ্গে রাহুল বলে দেন, “আমি মহিলাদের জন্য সংরক্ষণের নির্দেশ দেব।”
[আরও পড়ুন: Narendra Modi: ফের বিশ্বের জনপ্রিয়তম রাষ্ট্রনেতার খেতাব পেলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি, অনেক পিছনে বাইডেন, মর্কেলরা]
বস্তুত, গোটা দেশে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য মহিলা ভোটারদের বিশেষভাবে টার্গেট করছে কংগ্রেস। উত্তরপ্রদেশ ভোটে পুরোপুরি মহিলাকেন্দ্রিক প্রচারে নেমেছেন রাহুলের বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী (Priyanka Gandhi)। উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের স্লোগান, ‘লড়কি হু, লড় সকতি হু।’ এমনকী বিধানসভা ভোটে ৪০ শতাংশ আসনে মেয়েদের প্রার্থী করার সিদ্ধান্তও ঘোষণা করেছেন প্রিয়াঙ্কা। শুধু উত্তরপ্রদেশ নয়, গোটা দেশেই কংগ্রেসের ফোকাসে মহিলারাই। দেশজুড়ে হাত শিবির যে সদস্য সংগ্রহ অভিযানে নেমেছে, তাতেও মহিলাদের বিশেষভাবে নজর দেওয়া হয়েছে। এদিন রাহুলের মুখে উঠে এল মহিলাদের জন্য সংরক্ষণের প্রসঙ্গটি। তাহলে কি ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে (2024 Lok Sabha Elections) মহিলাদের সংরক্ষণের বিষয়টিকে সামনে রেখেই এগোবে কংগ্রেস? আপাতত শুরু হয়েছে সেই জল্পনাই।
[আরও পড়ুন: ‘অ্যান্টিলিয়া’র পর এবার ‘স্টোকস পার্ক’, লন্ডনে বিশাল প্রাসাদ কিনলেন মুকেশ আম্বানি]
মজার কথা হল, ওই নৈশভোজের অনুষ্ঠানে নিজের ভবিষ্যৎ সন্তানদের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে রাহুলের মুখে। অথচ, কংগ্রেস সাংসদ এখনও অবিবাহিত। নিজের সন্তানদের কী শিক্ষা দিতে চান? সেটা জানিয়েছেন রাহুল। বলে দিয়েছেন, “যদি কেউ আমাকে জিজ্ঞেস করেন আপনি নিজের সন্তানদের কী শিক্ষা দিতে চান? আমি বলব মানবিকতা। কারণ মানবিকতা মানুষকে পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি বুঝতে সাহায্য করে।”