সুকুমার সরকার, ঢাকা: প্রয়াত হেফাজতে ইসলামের (Hifazat-e Islam) অন্যতম মুখ জুনেইদ বাবুনগরী। বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে হেফাজতের কেন্দ্রীয় সাঙ্গঠনিক সম্পাদক মীর ইদ্রিস নদভী।গত মার্চ মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরকালে হিংসায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে।
[আরও পড়ুন: Bangladesh: প্রধানমন্ত্রী হাসিনার নির্দেশে বাংলাদেশে দ্রুত খুলতে চলেছে স্কুল-কলেজ]
জানা গিয়েছে, গতকাল রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে আজ সকালে বাবুনগরীকে হাটহাজারি মাদ্রাসা থেকে চট্টগ্রামের প্রবর্তক মোড় এলাকার সিএসসিআর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রভূমি হাটহাজারির আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম মুইনুল ইসলাম মাদ্রাসার পরিচালক জুনাইদ বাবুনগরীর বয়স হয়েছিল সত্তরের কাছাকাছি। হৃদরোগ-সহ বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় তিনি ভুগছিলেন ।
গত মার্চ মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সফর ঘিরে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠে বাংলাদেশ। ওই সময় সংঘর্ষে প্রাণ হারান অন্তত ১৮ জন। আর ওই হিংসাত্মক ঘটনার নেপথ্যে হাত ছিল হেফাজত প্রধান মামুনুল হক ও বাবুনগরীর বলে জানিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। এছাড়াও বাবুনগরীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া ও হেফাজতের প্রয়াত প্রাক্তন প্রধান আহমেদ শফির মৃত্যুতে হাত থাকার অভিযোগ রয়েছে। বলে রাখা ভাল, ২০২০ সালে হেফাজতের আমির হয় জুনায়েদ বাবুনগরী। এর আগে সে এই সংগঠনের মহাসচিব পদে ছিলেন। এ ছাড়া সে চট্টগ্রামের মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষা পরিচালক ছিল।
উল্লেখ্য, গত ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর ঘিরে ঢাকা, চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় কয়েক দিন ধরে তাণ্ডব চালায় কট্টর ভাবধারার এ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সেসব ঘটনায় কয়েকটি মামলায় বাবুনগরীকেও আসামি করা হয়। আহমদ শফীর মৃত্যু ‘স্বাভাবিকভাবে হয়নি’ দাবি করে তার শ্যালকের করা মামলাতেও আসামি ছিল জুনাইদ বাবুনগরী।