সুরজিৎ, ডায়মন্ড হারবার: বর্ষা শুরু হতেই খরা কাটল ইলিশের। গত দু'দিনে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় উপকূলের ঘাটে ঘাটে ভিড়েছে টন টন ইলিশের ট্রলার। মরশুমে এই প্রথম এত ইলিশ জালবন্দি করতে পেরে স্বাভাবিকভাবেই খুশি মৎস্যজীবীরা।
ছবি: প্রতীকী
বুধ ও বৃহস্পতিবার নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ, পাথরপ্রতিমা, কাকদ্বীপ মৎস্যবন্দরে ভিড়েছে শতাধিক ট্রলার। প্রতি ট্রলারেই রয়েছে ইলিশ। ওয়েস্টবেঙ্গল ইউনাইটেড ফিশারমেন অ্যাসোসিয়েশনের সহকারী সম্পাদক বিজন মাইতি জানান, এই মরশুমে প্রথম এত পরিমাণ ইলিশ নিয়ে গভীর সমুদ্র থেকে ফিরলেন মৎস্যজীবীরা। তিনি জানান, সবচেয়ে বেশি ইলিশ ভর্তি ট্রলার ফিরেছে নামখানা বন্দরে। গত দু'দিনে শতাধিক ট্রলার ঘাটে ঘাটে ভিড়েছে প্রায় ৫০ থেকে ৫৫ টন ইলিশ নিয়ে। তবে ইলিশের ওজন খুব বেশি নয়। ট্রলারগুলিতে ৪০০ থেকে ৬০০ গ্রামের ইলিশ রয়েছে অনেক বেশি পরিমাণে। বড় অর্থাৎ এক কেজি বা তারও বেশি ওজনের ইলিশ সংখ্যায় খুবই কম।
[আরও পড়ুন: দুদিন নিখোঁজ থাকার পর বাড়ির পাশের জলাশয়ে উদ্ধার ব্যবসায়ীর দেহ, চাঞ্চল্য ক্যানিংয়ে]
সমুদ্রফেরত মৎস্যজীবীরা জানান, এখনও সমুদ্রে রয়েছে প্রায় হাজার দেড়েক ট্রলার। সমুদ্রে ইলিশের ঝাঁকও রয়েছে। সেই ইলিশ জালবন্দি করে প্রতিদিনই বিভিন্ন মৎস্যবন্দরে ফিরছে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ টি করে ট্রলার। প্রতি ট্রলারেই রয়েছে প্রচুর ইলিশ। যদিও বাজারে চাহিদার তুলনায় ইলিশের যোগান এখন নামমাত্রই। তবে আবহাওয়া এখন অনেকটাই অনুকূলে। মৎস্যজীবীদের উদ্দেশে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আপাতত কোনও সতর্কবার্তাও নেই। গত কয়েকদিনে বর্ষা তার স্বাভাবিক ছন্দে ব্যাটিং শুরু করায় তাই প্রচণ্ড আশাবাদী মৎস্যজীবীরা।