ধীমান রায়, কাটোয়া: বর্ষা ঢুকতেই রুপোলি শস্যের আমদানি৷ জলের দরে বিকোচ্ছে ইলিশ। তাই রুই, কাতলা ফেলে ইলিশে মজেছেন কাটোয়াবাসী। ডায়মন্ড হারবার থেকে দেদার ইলিশমাছ ঢুকতে শুরু করেছে কাটোয়ার বাজারগুলিতে। আর দামও একেবারে নাগালের মধ্যেই। কাজেই ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টির সঙ্গে ইলিশের যুগলবন্দির স্বাদ পেতে বিশেষ কষ্ট করতে হচ্ছে না তাঁদের৷
[আরও পড়ুন: সম্পত্তি হাতিয়ে ঘরছাড়া করেছে ছেলে, নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ বৃদ্ধ]
জামাইষষ্ঠীতে কাটোয়া শহরের মাছের বাজারে ইলিশের মুখ পর্যন্ত দেখা যায়নি। আক্ষেপ করছিলেন স্থানীয়রা। আর জামাইদের পাতে ইলিশ দিতে না পেরে শাশুড়িদেরও মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল৷ কাটোয়ার মাছ বিক্রেতা গৌড় থাণ্ডার, আব্বাস দফাদাররা বলছেন, ‘প্রতি বছর জামাইষষ্ঠীতে ইলিশের চাহিদা থাকে। দাম যতই বেশি হোক না কেন অনেকেই জামাইয়ের পাতে দেওয়ার জন্য ইলিশ কেনেন। এবার সেসময় ইলিশ কাটোয়ায় আসেনি। কিন্তু গত দুদিন ধরে প্রচুর ইলিশ আমদানি হতে শুরু করেছে।’
জানা গিয়েছে, গত দু-তিন দিন ধরে কাটোয়ার মাছের বাজারে দেদার ইলিশ আসছে। তবে সেগুলির ওজন ৩০০ গ্রাম থেকে ৩৫০ গ্রামের মধ্যেই৷ তাই বিক্রি হচ্ছে ২৫০-২৬০ টাকা কেজি দরে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, প্রতি বছর ইলিশ যখন প্রথম বাজারে আমদানি হয়, তখন এই আকারের মাছের দাম অন্তত ৪০০ টাকা ওঠেই৷ কেজি প্রতি এই দামের নিচে পাওয়াই যায় না। তাই শুরুতেই মারকাটারি সেল ইলিশের।
[আরও পড়ুন: রাতে গৌড় এক্সপ্রেসে কলেজ ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেপ্তার ১]
ইলিশের মরশুম শুরু হতেই সবার নজর থাকে দিঘার দিকেই। দিঘায় সবে ইলিশ উঠতে শুরু করেছে। কিন্তু কাটোয়ায় এখনও দিঘার ইলিশ ঢোকেনি বলেই জানাচ্ছেন মাছ বিক্রেতারা৷ কাটোয়ার মাছের আড়তদার চাঁদ মাঝি, নরেশ হালদাররা বলেন, ‘গত দু-তিন দিন ধরে ডায়মন্ড হারবার থেকে এই ইলিশ মাছগুলি আসছে। প্রচুর জোগান রয়েছে। তাই দামও অনেকটা সস্তা।’ অন্যদিকে, ইলিশের মোহে পড়ে ক্রেতারা এখন মুখ ফিরিয়েছেন রুই-কাতলা থেকে।
ছবি: জয়ন্ত দাস৷
The post বৃষ্টি-ইলিশের যুগলবন্দি, বাজারে রুপোলি শস্যের আগমনে উচ্ছ্বাস appeared first on Sangbad Pratidin.
