সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: 'শিব ঠাকুরের আপন দেশে আইন কানুন সর্বনেশে।' সুকুমার রায়ের 'একুশে আইন' যেন অক্ষরে অক্ষরে মিলে যায় কংগ্রেস শাসিত হিমাচল প্রদেশের নীতির সঙ্গে। তবে একুশে আইনের ২১ টাকার পরিবর্তে এবার বাড়িতে শৌচাগার থাকলে ২৫ টাকা কর গুনতে হবে জনসাধারণকে। অভিযোগ, এমনই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে হিমাচল প্রদেশের সুখবিন্দর সিং সুখুর সরকারের তরফে। এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিরোধী শিবির।
দাবি করা হচ্ছে, রাজ্যের আর্থিক সংকট কাটাতে সরকারের তরফে নয়া বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। নিকাশি ব্যবস্থা এবং জলের বিল সংক্রান্ত বিষয়ে প্রকাশিত এই বিজ্ঞপ্তিতে নাকি বলা হয়েছে, জলের বিলের ৩০ শতাংশ হবে নিকাশি বিল। যাঁরা নিজস্ব উৎস থেকে জল ব্যবহার করেন এবং শুধুমাত্র সরকারি দফতরের নিকাশি কানেকশন ব্যবহার করেন, তাঁদের প্রতি মাসে বাড়ির প্রতিটি টয়লেট সিটের জন্য ২৫ টাকা করে দিতে হবে। এর সঙ্গে জলের বিল থাকবে ১০০ টাকা। নিকাশি বিলের পাশাপাশি এই অতিরিক্ত ফি জল শক্তি দফতরের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করা হবে।
এই বিজ্ঞপ্তি ঘিরেই বিতর্ক চরম আকার নেয়। অভিযোগ ওঠে, বাড়ির মহিলাদের সভ্রম রক্ষায় যখন বাড়ি বাড়ি শৌচালয় তৈরির প্রক্রিয়া জারি রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেখানে এই নীতির ঠিক উলটো পথে হেঁটে অদ্ভুত এই পদক্ষেপ কেন নিচ্ছে হিমাচল প্রদেশের কংগ্রেস সরকার? কংগ্রেস সরকারের এহেন পদক্ষেপের তীব্র বিরোধিতায় সরব হয়েছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা বলেন, খটাখট মডেল চালু করেছে কংগ্রেস। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, রাহুল গান্ধী ও কংগ্রেসের খটাখট মডেল সব সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। এবার তারা শৌচালয়ের উপরেও ট্যাক্স চাপাচ্ছে। হিমাচল প্রদেশ ও কর্নাটকে ক্ষমতায় আসার পর পেট্রোল, ডিজেল, দুধ, জল, বাসের ভাড়া, স্ট্যাম্প ডিউটির পর সব কিছুতেই কর বসানো হয়েছে। এবার টয়লেটও ছাড়ল না তারা।
তবে বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই হিমাচলের কংগ্রেস সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, টয়লেট ট্যাক্স নামে কোনও বিজ্ঞপ্তি সরকার প্রকাশ করেনি। শুধুমাত্র জলের কর সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে সরকার।