সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যোগী আদিত্যনাথের উত্তরপ্রদেশের পর এবার কংগ্রেস শাসিত হিমাচল প্রদেশ। রেস্তরাঁ বা খাবারের দোকানের সামনে সাইনবোর্ডে লিখতেই হবে মালিকের নাম, ফোন নম্বর, ঠিকানা। ঘোষণা করে দিল সেরাজ্যের সুখবিন্দর সিং সুখু সরকার। উৎসবের মরশুমের আগে আগেই কংগ্রেস সরকারের এই সিদ্ধান্তে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
হিমাচল প্রদেশের নগরোন্নয়ন মন্ত্রী বিক্রমাদিত্য সিং বলছেন, "আমরাও উত্তরপ্রদেশের মতোই কঠোরভাবে এই আইন কার্যকর করতে চাই। এবার থেকে সমস্ত রেস্তোরাঁ, ধাবা, ফুড স্টলের সাইনবোর্ডে মালিকের নাম, ফোন নম্বর, ঠিকানা উল্লেখ করতেই হবে।" এর আগে কানোয়ার যাত্রার সময় উত্তরপ্রদেশে এই ধরনের নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। যা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হয়। যদিও সেই বিতর্ক উড়িয়ে উৎসবের মরশুমের আগে ফের একই ধরনের নির্দেশিকা জারি করেছে যোগী সরকার। কংগ্রেস শাসিত হিমাচলও সে পথেই হাঁটল।
কানোয়ার যাত্রার সময় উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের বিজেপি সরকার নির্দেশ দিয়েছিল, যাত্রার প্রতিটি রুটে যত খাবারের দোকান রয়েছে, তার সবকটিতেই বড় বড় ব্যানার দিয়ে লিখতে হবে দোকান মালিকের নাম। যার মূল উদ্দেশ্য ছিল, পুণ্যার্থীরা যাতে আলাদাভাবে চিনতে পারেন হিন্দু ও মুসলিম দোকানগুলিকে। পরে সুপ্রিম কোর্ট উত্তরপ্রদেশ সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা করে সেই নির্দেশ বাতিল করে দেয়।
মজার কথা হল, সেসময় যোগী সরকারের এই নির্দেশিকার বিরোধিতা করে কংগ্রেসও। এবার সেই কংগ্রেস শাসিত রাজ্যেই একই নিয়ম চালু হচ্ছে। যদিও বিক্রমাদিত্য সিংয়ের যুক্তি, এর পিছনে ধর্মের কোনও ব্যাপার নেই। খাবারের মান ঠিক রাখার জন্যই এই সিদ্ধান্ত। খাবারের দোকানের সামনে মালিকের নাম লেখা থাকলে মালিকের দায়বদ্ধতা থাকবে।