সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: CAA বিরোধী আন্দোলনে মৃত্যু হয়েছিল ৫ জনের। সেই অসমে প্রথম নয়া আইনে ভারতের নাগরিকত্ব পেলেন এক বাংলাদেশি হিন্দু। শিলচরের বাসিন্দা দুলন দাসকে বৃহস্পতিবার নাগরিক হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। আসলে বাংলাদেশের বাসিন্দা দুলন ১৯৮৮ সাল থেকে শিলচরে বসবাস করেছেন। ওই বাংলাদেশি হিন্দু প্রৌঢ় নাগরিকত্ব পেতেই শুরু হয়েছে প্রতিবাদ।
জুলাই মাসে নাগরিকত্ব আইনের রুল জারি হয়। মনে করা হচ্ছিল অসমেই লক্ষ লক্ষ মানুষ নয়া আইনে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করবেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, গত পাঁচ মাসে মোটে ৮ জন আবেদন করেছেন। এই নিয়ে জুলাই মাসে অসমের (Assam) মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা হুঁশিয়ারি দেন, যাঁরা ২০১৫ সালের আগে ভারতে এসেছেন, নাগরিকত্ব আইনের শর্ত মেনে আবেদন না করলে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করবে সরকার। আর যাঁরা ২০১৫ সালের পরে এসেছেন, তাঁদের নির্বাসিত করা হবে। তারপরও আবেদনের সংখ্যা বাড়েনি। উলটে দুজন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: আজ ৩ রাজ্যের নির্বাচন ঘোষণা! কাশ্মীরেও বাজতে পারে ভোটের দামামা]
সেই আটজনের মধ্যেই একজন শিলচরের দুলন দাস। বয়স পঞ্চাশের কোঠায়। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হওয়ার কারণে বাধ্য হয়ে দেশ ছাড়ে তাঁর পরিবার। সিলেটের বাড়ি ছেড়ে ভারতে এসে স্থায়ী বসবাস শুরু করেন অসমের শিলচরে। তাঁকে নাগরিকত্ব সার্টিফিকেট সংগ্রহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে।
[আরও পড়ুন: হাসপাতাল থেকে ফেরার পথে ধর্ষণ করে খুন নার্সকে, এক সপ্তাহ পরে উত্তরপ্রদেশ থেকে উদ্ধার দেহ]
দুলন দাস নাগরিকত্ব পেতেই ফুঁসে উঠেছে অসমের সিএএ বিরোধী সংগঠন অল অসম স্টুডেন্ট ইউনিয়ন। অসমের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তাঁরা। AASU-এর সভাপতি উৎপল শর্মা সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে 'প্রতারক' বলে বিঁধে দিয়েছেন। তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, হিমন্তই বড় মুখ করে বলেছিলেন CAA তিনি মানবেন না। অথচ কার্যক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে তিনিই সেটাকে কার্যকর করছেন। এর বিরুদ্ধে আগামী দিনে রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ হবে।