সুকুমার সরকার, ঢাকা: সরকারের কড়া অবস্থানের মাঝেও সাম্প্রদায়িক হানাহানির অভিযোগ। দুর্গাপুজো এবং ভোটমুখী বাংলাদেশে ফের অঘটন। প্রতিমা ভাঙচুর করা হয় বলেই অভিযোগ। এই ঘটনার তীব্র নিন্দায় সরব বাংলাদেশের হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতারা।
অভিযোগ, ঢাকা থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরের টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়। আটিয়া ইউনিয়নের হিংগানগর কামান্না সরকারপাড়া মন্দিরে শুক্রবার রাতে এই ঘটনাটি ঘটে। মন্দির কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি সদস্য পরিমল দে বলেন, “দুর্গাপুজো উপলক্ষে আমাদের মন্দিরে প্রতিমা তৈরির কাজ চলছিল। শনিবার দেখতে পাই মন্দিরের ভিতরে থাকা গণেশ, সরস্বতী, অসুর-সহ কয়েকটি প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে।” কে বা কারা একাজ করল, তা জানা যায়নি। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
[আরও পড়ুন: মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে আসাই যেন কাল! নাতনির চোখের সামনে ‘খুন’ প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের মা]
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন বাংলাদেশের হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতারা। সংগঠনের সভাপতি ঊষাতন তালুকদার, অধ্যাপক ডঃ নিমচন্দ্র ভৌমিক ও নির্মল রোজারিও এবং সাধারণ সম্পাদক রাণা দাশগুপ্ত জানান, “প্রতি বছর দুর্গাপুজোর প্রস্তুতির সময় প্রতিমা ভাঙার ঘটনা ঘটে। কিন্তু এ সমস্ত ঘটনার কোনো বিচার কিংবা প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। ফরিদপুরের ওই একই মন্দিরে ২০২১ সালেও একই ঘটনা ঘটে। দুর্গাপুজোর প্রস্তুতির সময় প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়। সে সময় দিদার নামে এক দুষ্কৃতীকে হাতেনাতে ধরে পুলিশ। কিন্তু ওই দিদারকে মানসিক ভারসাম্যহীন হিসাবে দাবি করা হয়। ১৫ দিনের মধ্যেই ছেড়ে দেওয়া হয়। সে সময় যদি ওই দুষ্কৃতীকে যথাযথ শাস্তি দিলে ঘটনার পুনরাবৃত্তি হত না।”
তাম্বুলখানা মন্দির পরিদর্শন করেন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ফরিদপুর জেলা নেতারা। এদিকে, হবিগঞ্জের মাধবপুর ছাতিয়াইন দক্ষিণ রামশ্বর গ্রামে পুজোমণ্ডপে হামলা ও প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদশ জাতীয় হিন্দু ছাত্র মহাজোট। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে সংগঠনটি।