সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুসলিম মহিলার সঙ্গে সফর করায় হিন্দু যুবককে বেধড়ক মার। অভিযোগ, যুবককে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয় এবং বেশ কয়েক ঘণ্টা আটকেও রাখা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে তেলেঙ্গানার নিজামাবাদ জেলায়।
[আরও পড়ুন: উত্তরাখণ্ড, কর্ণাটক, গুজরাটের পর এবার হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী বদল নিয়ে জল্পনা, কী বলছে বিজেপি?]
সর্বভারতীয় বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যম ‘Times Now’ সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে ৮ সেপ্টেম্বর। আক্রান্ত যুবক নিজামাবাদে স্থানীয় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত। ওই দিন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক মহিলা সহকর্মীর সঙ্গে কর্মস্থল থেকে একটি বাইকে চেপে শহরের একটি হাসপাতালে কিছু নথি সংগ্রহ করতে যাচ্ছিলেন তিনি। তখনই গাড়িতে পিছু ধাওয়া করে তাঁদের উপর চড়াও হয় বেশ কয়েকজন ব্যক্তি। প্রচণ্ড মারধর করা হয় ওই যুবককে। শুধু তাই নয়, পাশের একটি জায়গায় কয়েক ঘণ্টা আটকেও রাখা হয় আক্রান্ত ওই যুবককে। পরে সঙ্গী মহিলার ভাই এসে জানান যে তিনিই আক্রান্ত যুবকের সঙ্গে বোনকে অনুমতি দিয়েছিলেন। তারপর তাঁকে মুক্তি দেয় অপহরণকারীরা। অভিযোগ, হামলাকারীরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। ওই যুবকের অপরাধ, তিনি এক মুসলিম মহিলার সঙ্গে একই বাইকে চেপেছিলেন।
এদিকে, এই ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এই বিষয়ে ১১ সেপ্টেম্বর স্থানীয় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যে হামলায জড়িত চার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকি দুই অভিযুক্ত এখনও পলাতক। যেহেতু আক্রান্ত ব্যক্তি দলিত সম্প্রদায়ের, তাই হামলাকারীদের বিরুদ্ধে এসসি, এসটি ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। এই ঘটনায় রীতিমতো উত্তেজনা ছড়িয়েছে নিজামাবাদ শহরে। এর আগেও ওই এলাকায় বেশ কয়েকবার সাম্প্রদায়িক সংঘাত বেঁধেছে।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ ভারতে, বিশেষ করে কেরল ও তেলেঙ্গানায় সাম্প্রদায়িক সংঘাত বিগত দিনে বেড়েছে। সম্প্রতি, কেরলের এক যাজক অভিযোগ করেছেন যে অমুসলিম তরুণ-তরুণীদের মাদকের নেশায় বুঁদ করিয়ে তাঁদের বিপথে ঠেলে দিচ্ছে কেরলের মুসলিমদের একাংশ। তাঁদের এই অভিযানের নাম ‘নারকোটিক জেহাদ’ বা ‘মাদক জেহাদ’। কেরলের মার্থ মারিয়াম পিলগ্রিম চার্চে ভাষণ দেওয়ার সময় এমনই বিস্ফোরক দাবি করেছেন পালাই বিশপ জোসেফ কাল্লারাঙ্গাট।