সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরিবারের সদস্যদের হেনস্তা করা হচ্ছে বলে থেকে সরে দাঁড়ালেন জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi Mosque) মামলার অন্যতম প্রধান আবেদনকারী। হিন্দুপক্ষের তরফে আবেদনকারী জিতেন্দ্র সিং ভিসেন জানিয়েছেন, বেশ কয়েকবার হেনস্তার মুখে পড়েছেন তাঁর স্ত্রী ও ভাইঝি। তাই সমস্ত মামলা তুলে নিতে হচ্ছে। জ্ঞানবাপী মামলা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তাঁর আইনজীবীও। মামলা থেকে সরে গিয়ে জিতেন্দ্র বলেছেন, “আর সামর্থ্য নেই, তাই ধর্মের হয়ে লড়তে পারছি না।”
বছর তিনেক আগে জিতেন্দ্রর ভাইঝি রাখি সিং-সহ পাঁচ মহিলা বারাণসী আদালতের দ্বারস্থ হন। জ্ঞানবাপীর ‘মা শৃঙ্গার গৌরী’ (ওজুখানা ও তহখানা নামে পরিচিত) এবং মসজিদের অন্দরের পশ্চিমের দেওয়ালে দেবদেবীর মূর্তির অস্তিত্বের দাবি করে পূজার্চনার অনুমতি চেয়েছিলেন বারাণসীর আদালতে। তার পালটা জ্ঞানবাপী মসজিদ কমিটির আবেদন, হিন্দু মহিলাদের মামলা খারিজ করা হোক। গত বুধবারই জ্ঞানবাপী মামলায় মসজিদ কমিটির দাবি খারিজ করে দিয়েছিল এলাহাবাদ হাই কোর্ট (Allahabad High Court)।
[আরও পড়ুন: কীভাবে দুর্ঘটনার কবলে তিন ট্রেন? ছবিতে দেখে নিন ঘটনাক্রম
তারপরেই মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেন জিতেন্দ্র। একটি বিবৃতি দিয়ে তিনি বলেন, “আমি ও আমার পরিবার জ্ঞানবাপী মসজিদ সংক্রান্ত সমস্ত মামলা থেকে সরে দাঁড়াছি। এই ধর্মযুদ্ধে শামিল হয়ে জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল করেছি। আসলে ধর্মের নামে ছিনিমিনি খেলা মানুষের ভিড়ে সমাজটা ভরে গিয়েছে। তাই দেশ ও ধর্মের স্বার্থে নানা আদালতে যা কিছু মামলা দায়ের করেছিলাম, প্রত্যেকটি থেকেই সরে দাঁড়াচ্ছি।”
বিবৃতিতে জিতেন্দ্রর দাবি, জ্ঞানবাপী মামলার শুনানি চলার সময়েই তাঁর স্ত্রী ও ভাইঝিকে হেনস্তার মুখে পড়তে হয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে মামলা চালিয়ে যাওয়া একেবারে অসম্ভব বলেই তাঁর মত। যদিও জিতেন্দ্রর ভাইঝি রাখি আগেই এই মামলা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। অন্যদিকে, মামলা ছেড়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন জিতেন্দ্রর আইনজীবী শিবম গৌড়। গত এক বছর মামলা লড়ার পারিশ্রমিক পাননি বলেই সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ‘ছেলেকে’ হারালেন যশ-নুসরত! ‘পরপারে দেখা হবে..’, লিখলেন অভিনেত্রী]