সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কানাডার মন্দিরে হিন্দু পুণ্যার্থীদের মারধর করল খলিস্তানি জঙ্গিরা। জানা গিয়েছে, ব্রাম্পটনের হিন্দু সভা মন্দিরে রবিবার হলুদ পতাকা মন্দির চত্বরে গিয়ে তাণ্ডব চালায় জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্যরা। মহিলা এবং শিশুদেরও মারধর করা হয়েছে। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তবে হামলার পরে দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও কাউকে গ্রেপ্তার করেনি স্থানীয় পুলিশ।
রবিবার সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে টরন্টোর কাছে ব্রাম্পটনের হিন্দু সভা মন্দিরে খলিস্তানি তাণ্ডবের ভিডিও। ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মন্দিরে আসা পুণ্যার্থীদের বেধড়ক মারধর করছে হলুদ পতাকাধারী খলিস্তানি জঙ্গিরা। স্থানীয়দের দাবি, ঘটনাস্থলে পুলিশ থাকলেও তারা হামলাকারীদের বাধা দেয়নি। মন্দির চত্বরে তাণ্ডব চালায় খলিস্তানি জঙ্গিরা।
এই হামলার খবর প্রকাশ্যে আসতেই কানাডার ভারতীয় বংশোদ্ভূত সাংসদ চন্দ্র আর্য স্পষ্ট বলেন, "খলিস্তানি জঙ্গি মতাদর্শ কানাডায় কতখানি শক্তিশালী হয়ে উঠেছে, এই ঘটনাই তার প্রমাণ। ব্রাম্পটনের হিন্দু মহাসভা মন্দিরে ঢুকে যেভাবে ভক্তদের মারধর করা হয়েছে, তার পর সমস্ত সীমা পার করে গিয়েছে খলিস্তানিরা।" টরন্টোর সাংসদ কেভিন ভুং এবং কানাডার বিরোধী দলনেতা পিয়ের পলিভারও স্বীকার করেছেন, হিন্দুদের সুরক্ষা দিতে পারেনি কানাডা। পিয়েরের মতে, "প্রত্যেক ব্যক্তির অধিকার আছে নিজের ধর্ম এবং বিশ্বাস পালন করার। ধর্মস্থানে এমন হামলার তীব্র বিরোধিতা করছি।"
দীর্ঘদিন ধরেই খলিস্তানিদের মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। রবিবারের হামলার পর তিনি বলেন, মন্দিরে এমন হামলা মোটেই বরদাস্ত করা হবে না। কিন্তু হামলার পরে দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। কারা মন্দিরে হামলা করেছে, সেই নিয়েও মুখে কুলুপ এঁটেছে স্থানীয় পুলিশ। মন্দির চত্বরে বিরাট পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে হামলার পরে।