সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি ছিলেন ড্রাগ কিংপিন। কিন্তু কেবল একজন মাফিয়া নন, পাবলো এস্কোবারের (Pablo Escobar) প্রতাপ ছিল অবিসংবাদিত। এহেন দোর্দণ্ডপ্রতাপ ব্যক্তি তাঁর ব্যক্তিগত উদ্যোগে গড়ে তুলেছিলেন চিড়িয়াখানা। কিন্তু ১৯৯৩ সালে আমেরিকা এবং কলম্বিয়া সেনার যৌথবাহিনীর হানায় এস্কোবারের মৃত্যুর পর সেই চিড়িয়াখানার সব পশুকেই সরিয়ে নিয়ে যায় প্রশাসন। কিন্তু সরানো হয়নি চারটি জলহস্তীকে (Hippos)। সেই পশুগুলি সংখ্যায় বেড়ে এখন কার্যতই ধুন্ধুমার চালিয়ে যাচ্ছে। তাই এবার ভারত ও মেক্সিকোয় সেই জলহস্তীদের স্থানান্তরিত করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
কেন এই পরিকল্পনা? আসলে এস্কোবার চারটি জলহস্তীকে আফ্রিকা থেকে আনিয়েছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর কাছের জলাভূমিতে সেগুলি থেকে যায়। কালের নিয়মেই বংশবিস্তারের ফলে তারা এখন সংখ্যা অন্তত ৭৫। কোনও কোনও জলহস্তীর ওজন ৩ টনও। তারা নাপোলসের ওই খামার পেরিয়ে আরও বহু দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। কলম্বিয়ার প্রধান নদী ম্যাগডেলেনার প্রায় ২০০ কিলোমিটার অববাহিকা জুড়ে তাদের দাপট চলছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ওই এলাকায় সব মিলিয়ে জলহস্তীর সংখ্যা ১৩০-এর মতো। যা আগামী ৮ বছরে ৪০০ ছুঁয়ে ফেলতে পারে।
[আরও পড়ুন: গেরুয়া বসন, সোনার গয়নায় সজ্জিত কৈলাস রাষ্ট্রের প্রতিনিধি, কে এই মা বিজয়প্রিয়া নিত্যানন্দ?]
আর এর ফলেই বাড়ছে আশঙ্কা। কলম্বিয়ায় যেহেতু জলহস্তী পাওয়া যায় না, তাই তারা স্থানীয় বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য নষ্ট করে দেবে, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই তাদের হামলায় গবাদি পশু থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের আহত হওয়ার কথা জানা গিয়েছে। তাই কলম্বিয়ার বন ও পরিবেশ মন্ত্রক ভারত ও মেক্সিকোয় জলহস্তীদের পাঠাতে চায়। আপাতত গুজরাটে ৬০টি ও মেক্সিকোয় ১০টি জলহস্তী পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে।