সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) দ্বাদশ শ্রেণির ইতিহাসের পাঠ্যবই থেকে মোগল সাম্রাজ্যের অধ্যায় বাদ দিয়েছে যোগী আদিত্যনাথ সরকার। ন্যাশনাল কাউন্সিল অব এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং(NCERT)-এর পরামর্শ মেনে এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে প্রশাসন। এর পরই শিক্ষার গেরুয়াকরণের অভিযোগে বিতর্ক শুরু হয়েছে দেশজুড়ে। এবার এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গেল দেশের বহু ইতিহাসবিদকে। রোমিলা থাপার, জয়তী ঘোষ, মৃদুলা মুখোপাধ্যায়, ইরফান হাবিব ও আরও বহু ইতিহাসবিদ একটি বিবৃতি পেশ করেছেন এই বিষয়ে। তাঁদের দাবি, এভাবে ইতিহাস মুছে তৈরি করা হচ্ছে ‘ছদ্ম ইতিহাস’। পাশাপাশি হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) ও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছদ্ম ইতিহাসকে ছড়িয়েও দেওয়া হচ্ছে।
ঠিক কী বলা হয়েছে ওই বিবৃতিতে? ইতিহাসবিদদের দাবি, অতিমারি ও লকডাউনের সময় যেহেতু স্কুল-কলেজ বন্ধ ছিল, সেই সময় সিলেবাস কম করার কথা বলে এনসিইআরটি ইতিহাস থেকে বহু অধ্যায় বাদ দিতে শুরু করে। সেভাবেই বাদ পড়েছে মুঘল সাম্রাজ্যের কথা। বাদ পড়েছে ২০০২ গুজরাট দাঙ্গা, জরুরি অবস্থার মতো বহু অধ্যায়। আর এই ভাবে নানা অধ্যায় বাদ দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ছদ্ম ইতিহাস।
[আরও পড়ুন: আদালতে দেখা হবে’, আদানি ইস্যুতে রাহুল গান্ধীর টুইটে রাগে অগ্নি শর্মা হিমন্ত]
প্রসঙ্গত, এই বিতর্কে এনসিইআরটিও সাফাই দিয়েছে। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, সিলেবাস বদল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নয়, বরং মহামারীর কারণে অতিরিক্ত চাপে পড়া শিক্ষার্থীদের সাহায্য করা হয়েছে। তাঁদের উপর থেকে সিলেবাসের অতিরিক্ত বোঝা লাঘব করা হয়েছে। আর এখানেই ইতিহাসবিদদের প্রশ্ন, এনসিইআরটির বইয়ের নতুন সংস্করণ থেকে কেন মুঘল অধ্যায় বাদ দেওয়া হল? এখন যেহেতু আর লকডাউনের পরিস্থিতি নেই, সেখানে স্কুলের বই থেকে সিলেবাস কমানোর কী যুক্তি তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা গিয়েছে বরাবরই মোদি সরকারের সমালোচক ওই ইতিহাসবিদদের।