সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীপাবলিতে কালীপুজো হয় বাংলায়। এই দিনে লক্ষ্মীপুজো হয় ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে। তবে অনেক বাঙালি ঘরেও এদিন লক্ষ্মীপুজোর প্রথা প্রচলিত। দীপাবলিতে যে লক্ষ্মীপুজো হয়, তাকে বলা হয় দীপান্বিতা লক্ষ্মী পুজো। এই পুজোয় ঘর থেকে অলক্ষীকে বিদায় করে লক্ষ্মীকে বরণ করে নেয় গৃহস্থ। তাই এই লক্ষ্মীপুজোয় ঘরদোর ফিটফাট থাকা বাঞ্ছনীয়। দীপাবলি মানেই আলোর উৎসব। আর প্রচলিত বিশ্বাস, দীপান্বিতা লক্ষ্মীপুজোয় মাটির প্রদীপে ঘর সাজালে দেবীর বিশেষ কৃপালাভ হয়। কীভাবে সাজাবেন? সংবাদ প্রতিদিন ডট ইন-এ রইল মাটির প্রদীপ, আলপনায় ঘর সাজানোর টিপস।
১) ঘর সাজাতে মাটির প্রদীপ বা কৃত্রিম আলো একটা মূল অনুষঙ্গ। মাটির প্রদীপে এখন অনেক অপশন। প্লেন মাটির প্রদীপ যেমন হয়, নানারকম ডিজাইনার প্রদীপও বেরিয়েছে হাতে আঁকা। সেগুলো সাজিয়ে দিতে পারেন ঘরের কোনও একটা কোণায়।
২) পুজোর আসরে খড়ি মাটি দিয়ে সহজ আলপনা এঁকে তাতেও প্রদীপ ছড়িয়ে দিতে পারেন নকশার আদলে। দেখতে কিন্তু দারুণ লাগবে। বর্তমানে আবার রঙ্গোলির চল রয়েছে। তেমনভাবেও সাজাতে পারেন।
৩) প্রদীপ ঘরের কোনও একটা কোনায় রাখলে ভাল লাগবে। ধরুন, একটা কর্নার শুধু সাজালেন। বারোটা কি চব্বিশটা প্রদীপের সেট বসিয়ে ফুলের রঙ্গোলি করে দিলেন। কিংবা লক্ষ্মীপুজো মানেই বঙ্গবাড়ির অন্দরহমহল থেকে বারান্দাজুড়ে আলপনার বাহার। তার উপরও প্রদীপ সাজিয়ে দিতে পারেন।
৪) ঘরের ডাইনিং টেবিলে বা সেন্টার টেবিলেও ডিজাইনার মাটির প্রদীপ দিয়ে সাজাতে পারেন। কোনও বড় মূর্তি থাকলে, সেই মূর্তির চারধার দিয়েও আলো দিয়ে সাজান। তবে এই প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখলে ঘরের রোজকার আলো বন্ধ করে রাখুন। দেখবেন মায়াবী এক পরিবেশ তৈরি হবে। আর তার সঙ্গে ঠাকুরঘর থেকে ভেসে আসা ধূপ-কর্পূরের গন্ধ যেন এক আধ্যাত্মিক পরিবেশ সৃষ্টি করবে।
৫) এছাড়া, মোমবাতিরও প্রচুর বৈচিত্র এখন। যার মধ্যে ফ্লোটিং ক্যান্ডেল অন্যতম। ড্রয়িং রুমের মাঝখানে বড় একটা এথনিক পটে ফুলের পাপড়ি ছড়িয়ে ফ্লোটিং ক্যান্ডেল বসিয়ে দিতে পারেন। এছাড়াও কিছু প্রদীপে তেলের বদলে মোম থাকে। যা দিয়ে ঘর সাজালে খুব সুন্দর লাগে। কৃত্রিম আলো বন্ধ করে দিন। ঘর মায়াবী হয়ে উঠবে।
