সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাতাসে শীতের আগমনি বার্তা। ক্রমশ কমছে তাপমাত্রা। এই মরশুমে গিজার ছাড়া স্নানঘরের কথা ভাবতে পারেন না অনেকে। কেউ কেউ আবার স্নান করার সময়েও গিজার চালিয়েই রাখেন। কিন্তু জানেন কি, এই অভ্যাসের জন্য আপনার বড় ক্ষতি হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, স্নান করার সময় গিজার বন্ধ করে নেওয়াই উচিত। ঠিক কী কারণে একথা বলেন বিশেষজ্ঞরা, চলুন তা জেনে নেওয়া যাক।
* গিজার নির্দিষ্ট সময়ে বন্ধ না করলে বিপদে আশঙ্কা রয়েছে। গিজারের অতিরিক্ত গরম জলে হাত পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। আবার বেশিক্ষণ চালিয়ে রাখার ফলে বিস্ফোরণের সম্ভাবনাও এড়িয়ে যাওয়া যাবে না।
* গিজার বন্ধ করে দেওয়ার ফলে একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রার জল ভরে থাকে মেশিনে। তার ফলে জলের তাপমাত্রার হেরফের হয় না। বলে রাখা ভালো, স্নানের সময় জলের তাপমাত্রার হেরফের হলে শরীর খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তার ফলে মরশুমি রোগ বৃদ্ধির আশঙ্কা থাকে।
* অতিরিক্ত গরম জলে স্নান করলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। শুষ্কতা, জ্বালা কিংবা চুলকানির সমস্যার আশঙ্কাও থাকে।
* আবার বেশি গরম জলের ফলে হৃদযন্ত্রেরও ক্ষতি হয়। রক্তচাপের সমস্যাও দেখা দিয়ে পারে। তাই বিশেষজ্ঞদের মতে, ঈষদুষ্ণ জল ব্যবহার করুন। যাতে তা অতিরিক্ত বেশি গরম না হয়, সেদিকে নজর দিন।
স্নানঘরে গিজার থাকলে অবশ্যই এই বিষয়গুলি মাথায় রাখতে হবে:
* গিজার সঠিকভাবে লাগানো আছে কিনা খেয়াল রাখুন।
* জল থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করুন। নইলে শর্ট সার্কিটের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
* ভিজে হাতে ভুলেও গিজার কিংবা গিজারের সুইচে হাত দেবেন না।
* গিজারের জলে হাত দেওয়ার আগে দেখে নিন তাপমাত্রা কেমন রয়েছে। নইলে পুড়ে যেতে পারেন।
* গিজারের জলে স্নান করার পরই ঠান্ডা জল ব্যবহার করবেন না।
* অবশ্যই গিজারের জলে স্নান করার পর ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। নইলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।
