সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বর্ষার আভাস পাওয়া গেলেই চামড়া জুতো তুলে রাখার কথা মনে পড়ে। কিন্তু সবাই কি আর তা পারেন। এমন অনেকে আছেন যাঁদের চামড়ার জুতো পরেই বেরোতে হয়। ব্যস, সাধের জুতোর হাল বেহাল। এদিকে জুতো তুলে রাখাও তো আরেক ঝামেলা! বাতাসে আর্দ্রতা এই সময় বেশি থাকে। তাতে আবার ড্যাম্প পরার সম্ভাবনা বেশি। তাহলে কী করণীয়? বৃষ্টি থেকে চামড়ার জুতো আগলে রাখবেন কীভাবে? রইল কিছু উপায়।
মাঝেমধ্যেই জুতো পালিশ করান? কোনও নিয়ম মেনে পালিশের ধার ধারেন না? তবে এ অভ্যাস ছাড়ুন। এই বর্ষার সময় নিয়মিত জুতো পালিশ করানো উচিত। তাতে কাদা, ছত্রাক ইত্যাদি উঠে যায়। এছাড়া পালিশ থাকলে অনেক সময় জুতোর উপর জল জমে থাকে না। তাই এই ঋতুতে নিয়মিত জুতো পালিশ মাস্ট।
সাধারণ ‘শ্যু কন্ডিশনার’ দিয়ে পালিশের থেকে একটু আলাদা ‘শ্যু ওয়াক্সিং’। জুতো যদি দামি হয় তবে বর্ষার গোড়াতেই এটা করিয়ে নেওয়া ভালো। এর ফলে জুতোর চামড়া একদম সুরক্ষিত থাকবে।
[আরও পড়ুন: বক্ষবিভাজিকায় যৌবনের উসকানি, রূপসার রূপের এই হাতছানি এড়ানো মুশকিল]
একটু খোঁজ করলেই জুতোর দোকানে মিলবে ওয়াটারপ্রুফ স্প্রে। এ জিনিস নিজের সঙ্গেই রাখতে পারেন। হঠাৎ বর্ষার আগমনে জুতোয় লাগিয়ে নিলেই কেল্লাফতে। তবে স্প্রে প্রয়োগে জুতোর রঙ বদলানোর সম্ভাবনা থাকে। সেটা মাথায় রেখেই স্প্রে বেছে নিন।
ভেজা জুতো শুকোতে তাপ দেবেন না। তাতে চামড়া শুকোবে ঠিকই কিন্তু চামড়া এবড়ো-খেবড়ো আকার ধারণ করবে। তাতে জুতোটাই নষ্ট হবে। ড্রায়ার দিয়ে জুতো শুকনো করবেন না। বাড়তি জল ঝরিয়ে ফেলার পর জুতো শুকোতে কাগজ বা কাপড় ব্যবহার করুন। তাতে চামড়ার ভিতরের জল শুষে নেবে। ঘরের তাপমাত্রায় জুতো শুকনো না হলে ভেপার ব্যবহার করা যেতে পারে। ভেপার আয়রনের মাধ্যমে এ কাজ করা যেতে পারে।
বর্ষায় জুতো ভিজলে বাজে গন্ধ হতে পারে। তাই এক্ষেত্রে ভিনিগার ব্যবহার করতে পারেন। একটা ছোট্ট কাপড় ভিনিগারে ভিজিয়ে জুতোর ভিতরটা ভালো করে মুছে নিন। এতে দুর্গন্ধ দূর হবে।