সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেবীপক্ষ শুরু হতে আর বেশি দেরি নেই। এবার ঘরদোর পরিষ্কার করে ফেলার পালা। পুজোর সময়ে নিজে নিত্যনতুন সাজে ধরা দেওয়ার পাশাপাশি বাড়ির মেকওভারও কিন্তু প্রয়োজন। কারণ এইসময়ে বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে গেট টুগেদার লেগেই থাকে। অতঃপর অগোছালো ঘর নৈব নৈব চ! অনেকেই মনে করেন, ঘর সাজানো মানেই অনেক খরচ। বিষয়টা সেরকম নয়। এক্ষেত্রে প্রয়োজন শুধু বুদ্ধি আর উপযুক্ত প্ল্যানিংয়ের।
দু-তিন দশক আগেও মা-কাকিমারা পুজোর মাসখানেক আগে থেকে ঘর ঝাড়তে শুরু করতেন। তবে সময় এগিয়েছে, হাই টেক যুগে মহিলা-পুরুষ নির্বিশেষে সকলেই কাজে ব্যস্ত থাকেন। হাতে সময়ের ঘাটতি বলে কি আর ঘর পরিষ্কার করা হবে না? নো চিন্তা! এবার পুজোয় ঘরের ভোলবদলানো সাজানোকে সহজ করে ফেলুন।
১) ঘরের বাড়তি জিনিস বাতিল করুন প্রথম দিন। অপ্রয়োজনীয় জিনিস ঘরের জায়গা দখল করে। অনেক সময় বাচ্চাদের খেলনা মেঝেতে পড়ে থাকে। এগুলো স্মৃতি হিসেবে রাখতে না চাইলে কাউকে দিয়ে দিতে পারেন বা ফেলে দিন।
২) এইসময়ে অনেকেই ঘর রং করান। তবে ম্যাজিকের মতো ভোলবদল করতে চাইলে। ড্রয়িংরুম বা যে কোনও ঘরের একটা দেওয়াল শুধু রং করে দিন। বাজার চলতি অনেক প্যাটার্ন পাওয়া যায়। সেগুলো কিনে এনে নিজেই ট্রাই করতে পারেন।
৩) সেই দেওয়াল জুড়ে হাসিমুখের ফটোফ্রেম থাক। বা নানা ধরনের ওয়াল হ্যাঙ্গিং পাওয়া যায় আজকাল। সেগুলোও লাগিয়ে দিতে পারেন। এককোনায় নতুন ল্যাম্পশেড শোভা পাক। কিংবা একটু নরম আলো সাজিয়ে দিতে পারেন। পুজোর আগে নানা ব্যস্ততার রাজসূয় যজ্ঞ সেরে বাড়ি ফিরে ক্লান্ত শরীর-মন চাঙ্গা মনে হবে।
৪) গৃহসজ্জার ক্ষেত্রে পর্দা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ঘরের রং হালকা হলে একটু গাঢ় রঙের পর্দা ব্যবহার করুন এইসময়ে। তাহলে একঘেয়ে ঘরের সাজে নতুনত্ব আসবে। জুটের পর্দা ব্যবহার করতে পারেন। নানা রঙের পাটদড়ি পাওয়া যায়, সেগুলোও ঝুলিয়ে দিতে পারেন। কিংবা দু' পাশে হালকা রঙের পর্দা রেখে মাঝখানে ডিজাইনার পর্দাও ঝুলিয়ে দিতে পারেন।
৫) আপনি গাছ ভালোবাসলে, পুজোর আগে বেশ কিছু ইনডোর প্ল্যান্ট কিনে আনুন। এবং রকমারি কালারফুল প্যাটার্নের টব এবং স্ট্যান্ড দিয়ে ঘরজুড়ে সাজিয়ে ফেলুন। দেখবেন গোটা বাড়িতেই বেশ একটা পজিটিভ এনার্জি এসে গিয়েছে।
৬) ঘর সাজাতে কার্পেট এবং পাপোশও খুব গুরুত্বপূর্ণ। ঘর বড় হলে সেখানে দিব্যি জমকালো একটা কার্পেট মানিয়ে যাবে। ক'টা কুশন ছড়িয়ে দিন। তবে মাথায় রাখবেন, কার্পেট এবং কুশনের রং যেন মিশে না যায়। অর্থাৎ কনট্রাস্ট বজায় রাখুন। দিব্যি 'বৈঠকি আসর' জমে যাবে।
৭) এছাড়াও আড্ডার জায়গায় কিংবা ছাদের এককোণে পার্টির আয়োজন করতে চাইলে একটা মোটা তোষকের উপর একরঙের তবে গাঢ় রঙের চাদর বিছিয়ে দিন। তাতে রকমারি ডিজাইনের কুশন রাখুন। খানাপিনায় জমে উঠবে পুজোর গান-গল্প, আড্ডা।
