সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: 'ভূত চতুর্দশী' আর 'হ্যালোউইন' তফাৎ শুধু নামে। কিন্তু উদযাপন তেনাদের নিয়েই অর্থাৎ ভূতেদের জন্য একটা বিশেষ দিন। প্রায় ২০০০ বছর আগে শুরু হওয়া খ্রীস্টানদের এই রীতি পালিত হয় ৩২ অক্টোবর। আমেরিকায় বিশেষভাবে এই অনুষ্ঠানে মেতে ওঠেন সাধারণ মানুষ থেকে তারকা সকলেই। বাড়ির বাইরে হোক বা অন্দরমহল সাজিয়ে তোলা হয় নানা ভূতুড়ে জিনিস দিয়ে। তবে বিদেশে কেন? এইসময়ে এদেশেও কিন্তু হ্যালোউইন সমানভাবে জনপ্রিয়। অনেকেই কিন্তু এদিনটা উদযাপন করেন বিদেশি ধাঁচেই। আপনিও যদি আপনার বাড়ি এইসময় সাজিয়ে তুলতে চান? মাসের শেষে বাড়িতে থাকা বিভিন্ন জিনিস দিয়েই বানিয়ে ফেলতে পারেন হ্যালোউইনে ঘর সাজানোর বিভিন্ন জিনিস। রইল তারই টিপস।
হ্যালোউইনে ঘর সাজাতে সবার আগে যে জিনিসটির কথা মাথায় আসে তা হল কুমড়ো। অদ্ভুতভাবে চোখ, নাক কেটে রাখা কুমড়ো ছাড়া এই দিনে বাড়ির সাজসজ্জা অসম্পূর্ণ। এক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন বাজারে ডিম রাখার জন্য ব্যবহার হয় যে খাঁচার মতো দেখতে ঝুড়ি সেটিই। এর মধ্যে আলো ভরে, উপর থেকে কমলা রঙের কাপড় বা কাগজ আটকে নিয়ে তাতে চোখ, নাক কেটে বানিয়ে নিন হ্যালোউইনে 'স্পুকি পাম্পকিন'।
ঘরের বিভিন্ন কোণে যদি অল্প আলো দিয়ে মায়াবী এক পরিবেশ তৈরি করতে চান তাহলে কীট পতঙ্গের স্টিকার কিনে নিয়ে তার সঙ্গে আলো দিয়ে সাজিয়ে ফেলতে পারেন। অথবা ব্যাবহার না হওয়া কাচের বয়ামেও সেগুলি আটকে আলো দিয়ে তৈরি করতে পারেন ভূতুড়ে পরিবেশ। যা বাড়ির হ্যালোউইনের সাজের জন্য পারফেক্ট।
মুখোশ ছাড়া কি আর এই দিন উদযাপন করা যায়? ভূতুড়ে মুখোশ মাস্ট। তাই দোকান থেকে মুখোশ বানানোর উপযোগী কাগজ কিনে নিয়ে তাকে সঠিকভাবে কেটে নিন। হ্যালোউইনে মানাবে এমন রঙ ও ডিজাইন করে বানিয়ে ফেলুন আপনার এদিনের ভূতুড়ে মুখোশ।
বাজারে এই সময় নানা ধরনের আলো দেদার বিকোচ্ছে। অল্প দামের মধ্যে টুনি লাইটের বদলে প্রায় একইরকম দেখতে সারি দেওয়া কঙ্কাল দিয়ে বানানো আলো দিয়ে দিয়ে সাজিয়ে ফেলুন আপনার ঘর। আপনার ঘরের অন্দরমহলে 'স্পুকি' পরিবেশে উদযাপন করুন তেনাদের দিন।
