সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফেব্রুয়ারি শেষের আগেই শীত বিদায় নিয়েছে। এখনও ঘর ভর্তি ঘোরাফেরা করছে শীতপোশাক। রোজই ভাবছেন পরিষ্কার করে আলমারিতে তুলে রাখতে হবে। কিন্তু কাজের চাপে আর সময় হচ্ছে না, তাই তো? আর শীতপোশাক তো যেভাবে-সেভাবে আলমারিতে তুলে রাখা যায়নি। তাহলেই পোশাকের দফারফা। কারণ, কমপক্ষে ৯ মাস পর আবার সেগুলিতে হাত পড়বে। তাই সোয়েটার, টুপি আলমারিতে তুলে রাখার আগে জেনে নিন কোন পন্থা অবলম্বনে সেগুলি ভালো থাকবে।

কীভাবে শীতপোশাক কাচবেন?
১. খুব বেশি ময়লা না হলে শীতপোশাক কাচবেন না। শুধুমাত্র যে জায়গাটি অপরিষ্কার, সেই জায়গাটিতে অল্প পরিমাণে সাবান দিন। হালকা হাতে ঘষে জল দিয়ে ধুয়ে নিন। পরে হালকা রোদে দিয়ে ঠান্ডা করে তুলে রাখুন।
২. শীতপোশাক ভুলেও ওয়াশিং মেশিনে কাচবেন না। বেশি ময়লা হলে হালকা হাতে ঠান্ডা জলে কাচুন।
৩. ভিজে শীতপোশাক চড়া রোদে শুকোতে দেবেন না। ঝুলিয়ে না শুকোতে দেওয়াই ভালো। তার পরিবর্তে টানটান করে ছাদের মাটিতে ফেলে রাখুন। শুকিয়ে যাওয়ার পর ভাঁজ করে আলমারিতে গুছিয়ে রাখুন।
শুধু কাচলেই তো হল না। আলমারিতে শীতপোশাক গুছিয়ে রাখার পন্থাও জানা অত্যন্ত জরুরি। জেনে নিন কীভাবে আলমারিতে রাখা উচিত সোয়েটার, টুপি ও শাল।
১. শীতপোশাক আলমারিতে রাখার বদলে ট্রলিব্যাগে রাখার চেষ্টা করুন। যাতে বারবার খোলাবন্ধ না হয় সেটি। কারণ, শীতপোশাক ধুলোময়লা আকর্ষক। আলমারিতে রাখলে বারবার দরজা খোলা ও বন্ধে ধুলো টানতে পারে শীতপোশাক। তাতে নষ্ট হতে পারে সাধের সোয়েটার, টুপি।
২. শীতপোশাক যেখানে রাখছেন, সেখানে আগে ন্যাপথালিন দিন। কিংবা গোল গোল করে তুলোর বল তৈরি করুন। তাতে ল্যাভেন্ডার, ইউক্যালিপ্টাস কিংবা মিন্ট অয়েল দিন। তারপর তা আলমারি কিংবা ট্রলিব্যাগে ছড়িয়ে দিন। এবার ওই জায়গায় শীতপোশাক রাখুন। তাতে পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে আপনার সাধের সোয়েটার, টুপিকে বাঁচানো সম্ভব।