সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তৃতীয়বার বাংলায় তৃণমূল ক্ষমতায় ফিরতেই ফের তুঙ্গে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত। ভোট পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence) নিয়ে ইতিমধ্যে দু’বার মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠিয়েছিল অমিত শাহের মন্ত্রক। বুধবারই রাজ্যকে এ নিয়ে সতর্ক করেছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। উপযুক্ত জবাব না পেলে কড়া পদক্ষেপ করবে বলে জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয়কুমার ভাল্লা। এই সতর্কবার্তার পর ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি, তার আগেই বাংলায় প্রতিনিধি দল পাঠাল কেন্দ্র।
ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর আসছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ১২ জন সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ প্রশাসনকে কঠোর পদক্ষেপ করতে নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আজই রাজ্যে এল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের চার প্রতিনিধির দল। নেতৃত্বে রয়েছেন অতিরিক্ত সচিবস্তরের আধিকারিক। তাঁরা রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবে বলে খবর। তাঁরা দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোদাখালি, সুন্দরবন, ক্যানিং, জগদ্দল যাবে বলে খবর। সেখানকার গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলবেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: সাহাবুদ্দিনের শেষকৃত্য নিয়ে সরগরম বিহারের রাজনীতি, RJD থেকে পদত্যাগ মুসলিম নেতাদের]
উল্লেখ্য, ফল ঘোষণার পর থেকেই হিংসার অভিযোগ আসছিল। এমন পরিস্থিতিতে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে ফোন করে খবর নেন। এমনকী, রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠিয়ে খোঁজখবর নেয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সূত্রের খবর, সেই চিঠির জবাব দেওয়া হয়নি। বুধবার তারা চিঠি পাঠিয়ে ফের রাজ্যকে সতর্ক করে। এর পরই বৃহস্পতিবার সকালে প্রতিনিধি দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। যদিও অমিত শাহের মন্ত্রকের এই সিদ্ধান্তের পিছনে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা দেখছে তৃণমূল।