সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: বঙ্গে বাসা বেঁধে গেঁড়ে বসেছে 'শত্রু' দেশের নাগরিকরা! একটা-দুটো নয়, চার হাজারেরও বেশি জায়গার মালিকানা রয়েছে ভারতের শত্রু দেশগুলির নাগরিকদের হাতে। এমনই চমকে দেওয়া তথ্য প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সেই পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, খাস কলকাতাতেও এমন বেশ কিছু স্থান রয়েছে যেখানকার মালিক পাকিস্তান বা চিনের নাগরিকরা।
বুধবার সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে প্রশ্ন পেশ করেন বাংলার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদ জানতে চান, পশ্চিমবঙ্গে শত্রু দেশের নাগরিকদের মালিকানাধীন কত সম্পত্তি রয়েছে। জেলাভিত্তিক পরিসংখ্যানও চান তিনি। এছাড়াও ওই সম্পত্তি পুনরুদ্ধারে কী পদক্ষেপ করা হচ্ছে, শত্রু দেশের নাগরিকদের মালিকানাধীন সম্পত্তি নিলাম করার কথা সরকার ভাবছে কিনা, সেই প্রশ্নও তুলে ধরা হয় বিজেপি সাংসদের তরফে।
শমীকের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে মোট ৪ হাজার ৩৭৬টি জায়গা রয়েছে শত্রু দেশের নাগরিকদের মালিকানায়। তার মধ্যে ৫৬টি চিনা নাগরিকদের দখলে। বাকি ৪ হাজার ৩২০টি জায়গার মালিক পাকিস্তানের নাগরিকরা। গত তিন বছরে এই সম্পত্তির কোনওটাই বিক্রি হয়নি। কিন্তু ওই জায়গাগুলি ভাড়া দিয়ে গত তিন বছরে ৬৯ লক্ষ ৭২ হাজার টাকা আয় হয়েছে।
বাংলায় শত্রু দেশের নাগরিকদের মালিকানাধীন সম্পত্তির ৫৩৬টিই দখল নেওয়া হয়েছে। ৪৯টিতে উচ্ছেদের কাজ চলছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কলকাতায় ৯০টি জায়গায় সম্পত্তির মালিকানা রয়েছে পাকিস্তানি বা চিনা নাগরিকদের হাতে। তার মধ্যে ১৯টি চিনা নাগরিকদের হাতে এবং বাকি ৭১টি পাক নাগরিকদের কাছে রয়েছে। শত্রু দেশের মালিকানাধীন সম্পত্তি সবচেয়ে বেশি রয়েছে মুর্শিদাবাদে। ওই জেলায় ১৭২৮টি সম্পত্তি রয়েছে, সবকটিই পাক নাগরিকদের মালিকানাধীন। আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারের মতো জেলাগুলিতেও প্রচুর সম্পত্তি রয়েছে শত্রু দেশের নাগরিকদের, জানাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।