সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার (Coronavirus) পঞ্চম ঢেউয়ের আশঙ্কায় কাঁপছে হংকং (Hong Kong)। রাতারাতি আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে সেখানে সংক্রমণের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে বলে ভয় পাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি সেখানকার বাসিন্দা এক মহিলার শরীরে মারণ ভাইরাসের এক নতুন স্ট্রেনের দেখা মিলেছে। তারপর থেকেই দানা বেঁধেছে আশঙ্কা। সাবধান না হলে এবার সেখানে আছড়ে পড়তে পারে করোনার পঞ্চম ঢেউ।
যে বিষয়টা সবচেয়ে বেশি আতঙ্কে রেখেছে প্রশাসনকে, তা হল ওই মহিলা ২০১৯ সাল থেকে বিদেশে যাননি। তাহলে তিনি কী করে এন৫০১ওয়াই ও ই৪৮৪কে মিউট্যান্ট (Mutant) বহন করলেন তা ভেবে পাচ্ছেন তা চিকিৎসকরা। প্রসঙ্গত ওই দু’টি স্ট্রেন দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলে পাওয়া গিয়েছিল। অত্যন্ত ছোঁয়াচে ওই স্ট্রেনকে ঘিরে তাই তৈরি হয়েছে নয়া আতঙ্ক।
[আরও পড়ুন: করোনা যুদ্ধে ভারতের পাশে জাপান, অক্সিজেনের ঘাটতি মেটাতে মদত টোকিওর]
অধ্যাপক ডেভিজ হুই সু-চেং-এর মতে, এই পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্বের বিধি ঠিকমতো না মানলে হু হু করে অল্প সময়েই বেড়ে যেতে পারে সংক্রমণ। তাঁর কথায়, ‘‘আগামী ২ সপ্তাহ খুব গুরুত্বপূর্ণ। যদি সত্যিই পঞ্চম ঢেউ আছড়ে পড়ে তাহলে অল্প সময়ে বহু মানুষ আক্রান্ত হবেন।’’
এদিকে ভারতের মতোই এপ্রিল মাসে ভয়াবহ অবস্থা ব্রাজিলেরও (Brazil)। গত ১ মাসে সেখানে ১ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪ লক্ষ। এই পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিস্থিতি আগামী কয়েক সপ্তাহে আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। যদিও বিগত কয়েক দিনে সংক্রমণের হার সামান্য কমেছে, তবুও সকলকে সতর্ক থাকতে বলছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। দেশের এই পরিস্থিতির জন্য প্রধানমন্ত্রী বলসোনারোকেই দায়ী করছেন অনেকে। তিনিও প্রতিটি মৃত্যুর জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন। তবে সেই সঙ্গে এও জানিয়েছেন, যাই পরিস্থিতি হোক, তাঁর পক্ষে লকডাউন ডাকা সম্ভব নয়। তাহলে ব্রাজিলের অর্থনীতি পুরোপুরি মুখ থুবড়ে পড়বে।