অর্ণব আইচ: আহিরীটোলার পর এবার মেছুয়া পট্টি। কলকাতায় (Kolkata) ফের ভাঙল পুরনো বিপজ্জনক বাড়ি। শনিবার বিকেলের এই ঘটনায় ইতিমধ্যে দুজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।গুরুতর জখম হয়েছেন আরও দু’জন। ধ্বংসস্তূপে কয়েকজন আটকে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। রাস্তা আটকে চলছে উদ্ধারকার্য। ঘটনাস্থলে পৌঁচছেন কলকাতা পুলিশ ও দমকলবাহিনী।
এদিন বিকেলে কলকাতা পুরসভার ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের মেছুয়া পট্টিতে দুর্ঘটনাটি ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আচমকাই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে (Building Collapse) বিপজ্জনক বাড়িটির তিনতলার কিছু অংশ। বাড়িটি ব্যস্ত রাস্তা রবীন্দ্র সরণীর ধারেই। সেই সময় বাড়িটির নিচ দিয়ে কয়েকজন যাচ্ছিলেন। ভেঙে পড়া ইট-কাঠ-সিমেন্টের ঘায়ে জখম হন তাঁরা। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে দু’জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
[আরও পড়ুন: ফের উত্তপ্ত আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ, প্রিন্সিপালের পদত্যাগের দাবিতে কর্মবিরতি ইন্টার্নদের]
জানা গিয়েছে, ওই রাস্তা ধরে স্কুটি চেপে যাচ্ছিলেন বেনিয়াপুকুরের বাসিন্দা মহম্মদ তৌফিক। গুরুতর চোট পেয়েছিলেন তিনি। পরে তাঁর মৃত্যু হয়। বাইক আরোহী দমদমের বাসিন্দা রাজু গুপ্তারও মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর জখম হয়েছেন আরও দুজন-সুভাষ হাজরা এবং প্রদীপ দাস।বাড়ির ভিতরে কেউ আটকে রয়েছেন কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অসমর্থিত সূত্রে খবর, ধ্বংসস্তূপের ভিতরে ৪ জনের আটকে থাকার খবর মিলেছে।
ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসে কলকাতা পুলিশ এবং দমকলবাহিনী। তাঁরা বাড়িটির সামনের রাস্তা আটকে উদ্ধারকাজ শুরু করে করেছে। যার জেরে চতুর্থীর সন্ধেয় রবীন্দ্র সরণীতে ব্যাপক যানজট হয়েছে। কিন্তু কলকাতা পুরসভার অন্তর্ভুক্ত অঞ্চলে পর পর দু’টি বিপজ্জনক বাড়ি ভাঙার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। উঠছে একাধিক প্রশ্নও।
[আরও পড়ুন: পুজোয় পেট ভরবে অভুক্তদেরও, শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ছুটছে ‘কৌস্তভ অ্যান্ডস ফ্রেন্ডস’]
২৯ সেপ্টেম্বর আহিরীটোলায় একটি দু’তলা বাড়ি ভেঙে পড়ে। ভোর চারটে নাগাদ দোতলা ওই বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ে (Building Collapse)। ভিতরে ছিল দু’টি পরিবার। একটি পরিবারের সদস্যরা দেওয়ালে ছিদ্র তৈরি করে বেরিয়ে যায়। তবে আরেক পরিবারের গৃহকর্ত্রী ও শিশু-সহ মোট ৯ জন আটকে পড়েন।