সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) দ্রুত ছড়াচ্ছে সাম্প্রদায়িক হিংসার আগুন। এবার পুড়ল সংখ্যালঘু হিন্দুদের অন্তত ৬৫টি বাড়ি। প্রশাসনের কড়া পদক্ষেপের আশ্বাস সত্বেও এহেন ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে। এদিকে, হামলার প্রতিবাদে শাহবাগে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন দেশের বুদ্ধিজীবী ও ধর্মনিরপেক্ষ জনতা।
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশে দুর্গোৎসবে হামলার ঘটনায় সংখ্যালঘু ভোটব্যাংকে ধস নিয়ে চিন্তিত আওয়ামি লিগ]
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, রবিবার রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় হিন্দুদের উপর আক্রমণ হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি উসকানিমূলক পোস্টকে কেন্দ্র করে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা হয়েছে বলে খবর। জানা গিয়েছে, রামনাথপুর ইউনিয়নের মাঝিপাড়ার জেলেপল্লিতে হিন্দুদের ২০টি বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহম্মদ সাদেকুল ইসলাম স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, হিন্দুদের অন্তত ৬৫টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় হামলাকারীরা। তাঁর কথায়, “হামলাকারীরা জামাত-ই-ইসলামি সংগঠনের সদস্য। তাদের মধ্যে জামাতের পড়ুয়াদের সংগঠন ইসলামি ছাত্র শিবিরের সদস্যরাও রয়েছে।”
পুলিশ সূত্রে খবর, সোশ্যাল মিডিয়ায় কোরান অবমাননা করে একটি পোস্ট দেওয়ার গুজব ছড়িয়ে পড়তেই হামলার ঘটনাগুলি ঘটছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের দুর্গোৎসবে মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর-সহ হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে লুটপাট কাণ্ডে কার্যত মুখ পুড়েছে ক্ষমতাসীন দলের। যদিও দ্রুত ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে দোষী সন্দেহে অনেককে ধরপাকড় করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের দাবি, পূর্ব পরিকল্পিতভাবেই বাংলাদেশের পুজো মণ্ডপে হামলা চালানো হয়েছে। হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট করতেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছিল বলে জানালেন।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার অর্থাৎ অষ্টমীর রাতে বাংলাদেশের একাধিক পুজোমণ্ডপে হানা দেয় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় দ্রুত তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) প্রশাসন। এই হিংসাত্মক ঘটনার প্রতিবাদে সরব হন এপার বাংলার তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কুণাল ঘোষ। এদিকে, মণ্ডপে হামলার ঘটনার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লেখেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে এসবের চেয়েও বড় হয়ে ওঠে ইসকন মন্দিরে ভাঙচুরের ঘটনা।