সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সবে ২৪ ঘণ্টা কেটেছে। বাড়িতে ধাক্কা খেয়ে পড়ে কপালে আঘাত লাগার পর স্টিচ পড়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। বৃহস্পতিবার সন্ধের নাগাদ এসএসকেএম হাসপাতালে (SSKM Hospital) মুখ্যমন্ত্রীকে ভর্তি করার পর তাঁর কপালের ক্ষতস্থানে তিনটি এবং নাকে একটি স্টিচ পড়েছে। তিনি নিজের বাড়িতে রয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) সর্বক্ষণ পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চিকিৎসকরা। শুক্রবার সন্ধেবেলা কালীঘাটের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে দেখে আসেন ৩ চিকিৎসক। তাঁরা জানিয়েছেন, আপাতত স্থিতিশীল। যন্ত্রণাও কমেছে। স্বাভাবিক আছে রক্তচাপ, হৃদস্পন্দন। তবে মুখ্যমন্ত্রীকে এখন বিশ্রামে থাকতে হবে এবং নিয়ম করে ওষুধ খেতে হবে। পরে ফের তাঁর শারীরিক পরীক্ষা হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলা আহত হয়ে মুখ্যমন্ত্রী হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তাঁকে প্রয়োজনীয় সমস্ত চিকিৎসা পরিষেবা দেন বিশেষ চিকিৎসক দল। বাইরে থেকে তাঁকে দেখতে ছুটে আসেন বিশিষ্ট চিকিৎসক শ্যামাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষতস্থানে সেলাইয়ের পর কিছুটা স্থিতিশীল হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বাড়ি ফিরতে চান। যদিও চিকিৎসকরা বছর উনসত্তরের মুখ্যমন্ত্রীকে পরামর্শ দেন, হাসপাতালে থেকে যাওয়ার। কিন্তু তিনি বাড়িতে থাকতেই পছন্দ করছেন বলে ফিরে যেতে চাওয়ায় চিকিৎসকরা ছেড়ে দেন। শুক্রবার তাঁর শারীরিক পরীক্ষার পরই পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন চিকিৎসকরা, এমনই জানানো হয়েছিল এসএসকেএমের তরফে।
[আরও পড়ুন: কীভাবে কপালে চোট মুখ্যমন্ত্রীর? ‘ধাক্কা রহস্যে’র ব্যাখ্যা দিল তৃণমূল]
সেইমতো এদিন সকালে একবার চিকিৎসকরা গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে পরীক্ষা করেন। তখনও তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল ছিল। রাতে ঘুমও হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। পরে সন্ধের দিকে তাঁরা ফের যান কালীঘাটের বাড়িতে। শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখে কিছুটা নিশ্চিন্ত হন তাঁরা। জানান, কপালের ক্ষতস্থানে যে স্টিচ পড়েছিল, সেখানে যন্ত্রণা কমেছে। তাঁর রক্তচাপ (Blood Pressure), হৃদস্পন্দন (Heartbeat)সব স্বাভাবিক আছে। চিকিৎসকদের পরামর্শমতো অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হবে নিয়মিত। তিনদিন পর সম্ভবত স্টিচ কাটা হবে। এদিন সন্ধেবেলা মুখ্যমন্ত্রীকে কালীঘাটের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে দেখে আসেন রাজ্যের ফিরহাদ হাকিম, উজ্জ্বল বিশ্বাস।