shono
Advertisement

ভাইরাল ফিভারের মরশুমে সতর্ক থাকুন, জেনে নিন মুক্তির উপায়

এই জ্বর খুব ছোঁয়াচে। তাই বিশেষ সাবধানতা জরুরি। The post ভাইরাল ফিভারের মরশুমে সতর্ক থাকুন, জেনে নিন মুক্তির উপায় appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 09:22 PM Oct 16, 2018Updated: 09:22 PM Oct 16, 2018

সর্দি-কাশি, জ্বরের সঙ্গে দোসর গলা ব্যথা। পুজোর খুশিতে মাতোয়ারা হতে শরীরের বিশেষ কেয়ার জরুরি। জিনিয়া সরকারকে সাবধানবাণী শোনালেন বিশিষ্ট জেনারেল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. আশিস মিত্র

Advertisement

রোদ ঝলমল শারদপ্রাতে হঠাৎ করেই মেঘের আনাগোনার মতোই আচমকা জ্বরের হানা। ঠান্ডার আমেজ, সঙ্গে বৃষ্টি-দেবী পক্ষের সূচনায় বাড়তি সতর্কতা শরীরে থাকুক। না হলে সব আনন্দ মাটি হতে পারে। ভিড়ের মধ্যে এমন জ্বরের সংক্রমণ বেশি ছড়ায়। সাবধানের মার নেই।

কেন এই হঠাৎ জ্বর?

মূল কারণ আবহাওয়ার পরিবর্তন। একদিকে বৃষ্টি, অন্যদিকে রাতে ঠান্ডা ও সকালে গরম। এই সময় যে কোনও সংক্রমক রোগ, যেমন ভাইরাস, ব্যাকটিরিয়াঘটিত রোগ খুব বৃদ্ধি পায়। এই আবহাওয়ায় জীবাণুর প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় তাই মশা, মাছিবাহিত রোগের প্রকোপ থেকেও সাবধান।

জ্বরের ধরন

  • ভাইরাস ঘটিত জ্বর ৩-৫ দিনের বেশি থাকে না। এই জ্বর মূলত ইনফ্লুয়েঞ্জা জ্বর।
  • জ্বর তীব্র হতে পারে। অর্থাৎ ১০২-১০৩ পর্যন্ত জ্বর থাকতে পারে। সঙ্গে খুব গলা ব্যথা, মাথার যন্ত্রণা হতে পারে। কারও কারও ক্ষেত্রে আবার খুব গলা ব্যথা ও গায়ে র‌্যাশ বেড়তে পারে। হাড়ের গাঁটে গাঁটে ব্যথা হয়।
  • জ্বরের সঙ্গে নাক দিয়ে জল পড়ে ও অল্প খুকখুকে খাশি থাকে। তবে খুব বেশি কফ হয় না ভাইরাল ফিভারের ক্ষেত্রে।
  • জ্বর যদি ক্রমশই বাড়তে থাকে এবং জ্বর অনেক দিন ধরে থাকে সেক্ষেত্রে এই লক্ষণ ডেঙ্গুরও হতে পারে।
  • এমন জ্বরের ক্ষেত্রে জ্বরের সঙ্গে ডায়ারিয়ার সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

জ্বর থেকে রেহাই পেতে এই অভ্যাসগুলি এখনই বদলান ]

কাদের হচ্ছে?

মূলত যাঁদের অন্যান্য কোনও শারীরিক সমস্যা রয়েছে তাঁদের এই ভাইরাল ফিভারে আক্রান্তের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে। বিশেষ করে অ্যাজমা, ক্রনিক ব্রংকাইটিস, হার্টের অসুখ বা হার্ট ফেলিওরের সমস্যা ও ডায়াবেটিস থাকলে এই ভাইরাস খুব সহজে আক্রমণ করে। শারীরিক অসুস্থতার জন্য দীর্ঘদিন স্টেরয়েড ওষুধ খেলে তাঁদের এই জ্বরে পড়ার সম্ভাবনা বেশি। কারণ এক্ষেত্রে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। এই জ্বর শরীরকে খুব দুর্বল করে দেয়। যা থেকে জ্বরের পাশাপশি সংক্রমণের সম্ভাবনাও দ্বিগুণ বেড়ে য়ায়। বিশেষ করে চেস্ট ইনফেকশন এক্ষেত্রে বেশি হয়। এই জ্বর থেকে নিউমোনিয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়।

জ্বর ছেড়ে গেলেও যদি কারও দীর্ঘদিন সর্দি-কাশি, দুর্বলতা বা অন্যান্য শারীরিক সমস্যা থাকে সেক্ষেত্রে তাঁর অন্য কোনও অসুখ শরীরে লুকিয়ে থাকতে পারে। তাই এমন হলে  অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।  

মেনে চলুন

  • আশপাশের কারও জ্বর হলে তার কাছাকাছি কম যাওয়াই ভাল।
  • এখন এসিতে না থাকাই ভাল।
  • উষ্ণ জলে স্নান করুন। শিশুদের একেবারেই ঠান্ডা জলে স্নান করান চলবে না।
  • বৃষ্টির জল গায়ে লাগানো যাবে না। কোনওভাবে ভিজে গেলে বাড়ি ফিরে স্নান করে নিন। ভিজে জামাকাপড়ে থাকলে জ্বর হতে বাধ্য।

পুজোর মরশুমে সুস্থ থাকতে চান? অবশ্যই ডায়েটে থাক এই খাবারটি ]

কেয়ার অফ জ্বর

এই জ্বর খুব ছোঁয়াচে। তাই বিশেষ সাবধানতা জরুরি।

  • জ্বর যে ক’দিন থাকবে সেই কদিন বাড়িতে থেকে বিশ্রাম নেওয়াই সবচেয়ে ভাল। কারণ বেশি এদিক-ওদিক করলে তা যেমন শরীরের জন্য ক্ষতিকর, তেমনই তা একজনের থেকে অন্যের শরীরেও ছড়ায় সহজে।
  • পাশাপাশি এই জ্বর গায়ে থাকা অবস্থায় বেশি হাঁটাচলা করলে হঠাৎ রক্তচাপ কমে যেতে পারে, মাথা ঘুরতে পারে। তাই সাবধান।
  • যাঁরা প্রেসারের ওষুধ খান, তাঁদের এই জ্বর হলে সেক্ষেত্রে প্রেসারের ওষুধ বন্ধ করে রাখা বা ডোজ কমানোর প্রয়োজন পড়ে। কারণ এই জ্বরের প্রভাবে রক্তচাপের হেরফের হয়। তাই চিকিৎসককে অবশ্যই প্রেসারের ওষুধ খান তা জানান।
  •  প্রচুর জল খেতে হবে। কারণ এই  জ্বর হলে শরীরে ঘাম হয় খুব বেশি, ফলে জলের মাত্রা কমে। তাই জল বা ওআরএস মেশানো জল খেলে খুব উপকার। ডাবের জলও এই দুর্বলতা কাটাতে খুবই উপকারী।
  •  প্রচুর ফল, বিশেষ করে লেবু খেলে ভাল। এতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউনিটি ঠিক থাকে।
  • এই জ্বরের চিকিৎসা খুব লক্ষণভিত্তিক। অর্থাৎ জ্বরের সঙ্গে আনুষাঙ্গিক যা যা সমস্যা থাকবে সেই অনুযায়ী ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করা হয়।
  • হাঁচি, কাশির সময় মুখে হাত দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। আরও ভাল যদি মাস্ক ব্যবহার করা যায়। এতে জ্বরের ভাইরাস ছড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা কিছুটা হলেও রোধ হয়।

The post ভাইরাল ফিভারের মরশুমে সতর্ক থাকুন, জেনে নিন মুক্তির উপায় appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement