shono
Advertisement

একটানা ৫০ দিন জলমগ্ন এলাকা, প্রতিবাদে জমা জলের মধ্যেই ধরনায় বসলেন তৃণমূল বিধায়ক

হাওড়া পুরসভার বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন তিনি।
Posted: 04:59 PM Oct 01, 2021Updated: 07:32 PM Oct 01, 2021

অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: বৃষ্টি যেন পিছু ছাড়ছে না বঙ্গবাসীর। তার ফলে জলের তলায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত। হাওড়াও তার ব্যতিক্রম নয়। দীর্ঘদিন এলাকা জলমগ্ন থাকার প্রতিবাদে হাঁটু জলের মাঝেই ধরনায় বসলেন তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA)।

Advertisement

উত্তর হাওড়ার তৃণমূল বিধায়ক গৌতম চৌধুরীর (Goutam Chowdhury) দাবি, হাওড়ার সাত নম্বর ওয়ার্ড প্রায় ৫০ দিন ধরে জলমগ্ন। বৃষ্টির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এলাকার জমা জল কিছুটা কমে। তবে আবার সামান্য বৃষ্টি হলেই এলাকার অবস্থা যে কে সেই। আবারও কোথাও হাঁটুজল তো কোথাও গোড়ালি ডোবা জল জমে যায়। তার ফলে স্থানীয়রা সমস্যায় পড়ছেন। বাড়ি থেকে বেরতেও পারছেন না অনেকেই। শিশুদেরও নানারকম শারীরিক অসুস্থতা লেগেই রয়েছে।

[আরও পড়ুন: বিরল অসুখে খিদে বাড়ছে শিশুর, নিজের শরীর কামড়ে খাচ্ছে সে নিজেই! উদ্বেগে চিকিৎসকরা]

জলযন্ত্রণার প্রতিবাদে সরব উত্তর হাওড়ার তৃণমূল বিধায়ক গৌতম চৌধুরী। চেয়ার নিয়ে জমা জলে ধরনায় বসেন তিনি। যতক্ষণ না পর্যন্ত এলাকার জলমগ্ন দশার কোনও উন্নতি হবে, ততক্ষণ বসে থাকবেন বলেও জানান উত্তর হাওড়ার তৃণমূল বিধায়ক গৌতম চৌধুরী। হাওড়ার পুরসভার বিরুদ্ধে ক্ষোভও উগরে দিয়েছেন তিনি। একটানা ঘণ্টাদুয়েক বিধায়কের ধরনার পরই নড়েচড়ে বসেন স্থানীয় পুরসভার মুখ্য প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী। তিনি জানান, কেএমডিএ’র দু’টি পাম্পের মাধ্যমে এলাকার জল সরানো হবে। তাঁর আশ্বাস মতো কিছুক্ষণের মধ্যেই এলাকা থেকে জল নামানোর কাজ শুরু হয়।

এদিকে, হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এখনই বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গবাসীর পিছু ছাড়ছে না। ভারী বৃষ্টি না হলেও,  হালকা বৃষ্টি (Rain) চলবে বলেই জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। তবে আগামী দু’দিন উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তার ফলে পাহাড়ে নামতে পারে ধস। তাই বিপদসংকুল এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়েছে।  

[আরও পড়ুন: ‘দিদি নাম্বার ওয়ানে’ দেখানো বাঘের ঘটনা ভুয়ো! শো বন্ধের দাবি উঠতেই মুখ খুললেন রচনা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement