শাহজাদ হোসেন, জঙ্গিপুর: উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষা কেন্দ্রের ঘরের ভিতরে ঢুকে ভিডিও করলেন খোদ জেলা সভাধিপতি। সোশাল মিডিয়ায় মুর্শিদাবাদের জেলা সভাধিপতির রুবিয়া সুলতানার সেই ভিডিও পোস্ট হতেই বিতর্ক ছড়িয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, পরীক্ষা চলাকালীন জেলা সভাধিপতি কীভাবে স্কুলের ভিতরে প্রবেশ করে ভিডিও করলেন? স্কুল কর্তৃপক্ষেরই বা ভূমিকা কী ছিল?
সোমবার উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে সুতির ছাবঘাঁটি কে ডি বিদ্যাপীঠ এবং সামশেরগঞ্জের পঞ্চগ্রাম আই এস এ হাইস্কুল পরিদর্শনে যান রুবিয়া সুলতানা। সেখানে তিনি শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি ক্লাসরুমে গিয়ে পরীক্ষার্থীদের সঙ্গেও কথা বলেন। রুবিয়া সুলতানার সঙ্গে আরও প্রায় আট-দশ জন ব্যাক্তি উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ, পরীক্ষা চলাকালীন জেলা সভাধিপতি মোবাইলে ভিডিও করেন। সেই ভিডিও নিজের ফেসবুক পেজে পোস্ট করেন। তা নিয়ে বিতর্ক ছড়িয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘কাঞ্চন আমাকে ভালো সামলাবে’, ৫৩-র তারকা বিধায়ককে বিয়ে করেই ট্রোলের জবাব শ্রীময়ীর]
ওয়াকিবহাল মহলের প্রশ্ন, কীভাবে একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা এভাবে পরীক্ষাকেন্দ্রের ভিতরে প্রবেশ করে ভিডিও করলেন? কীভাবেই বা সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করলে? পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে স্কুলের ভিতরে এভাবে ভিডিও করতে পারেন কি?
এ প্রসঙ্গে সামশেরগঞ্জ ব্লকের পঞ্চগ্রাম আই এস এ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেহেবুব ইশা জানান, “কে কে এস কে স্মৃতি বিদ্যাপীঠ, জয়কৃষ্ণপুর এবি এস বিদ্যাপীঠ, আলিনস্করপুর হাইস্কুল সহ মোট চারটি স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষায় বসেছেন। আর যারা পরিদর্শনে এসেছিলেন তাঁরা সকলেই উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের প্রতিনিধি। আমার স্কুলের পুরো পরীক্ষা সিসিটিভির আওতাধীন। ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করে থাকলে সেটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার।”ভেনু ইনচার্জ বাপ্পাদিত্য দাস জানান, “যারা পরিদর্শনে এসেছিলেন সকলেই উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের মুর্শিদাবাদ জেলা কমিটির প্রতিনিধি। কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি নয়। তাঁরা এসেছেন এবং পরিদর্শন করেছেন।” এ ব্যাপারে মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি রুবিয়া সুলতানার দাবি, “আবেগের বশবর্তী হয়েই ছেলেরা ফেসবুকে পোস্ট করেছে। বিষয়টি বুঝতে পেরে ততক্ষণেই ডিলিট করে দেওয়া হচ্ছে।”