স্টাফ রিপোর্টার: সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নের উত্তর লিখতে হবে অতি সংক্ষেপে। উদাহরণ হিসাবে বলা যেতে পারে, যদি কোনও এসএকিউ-এ শূন্যস্থান পূরণ করতে বলা হয়, তা হলে পরীক্ষার্থী উত্তরপত্রে নির্ধারিত স্থানে শুধু শূন্যস্থান পূরণকারী শব্দ তথা উত্তরটি লিখলেই হবে। গোটা বাক্যটি তুলে ধরে লেখার প্রয়োজন নেই। এমনটাই জানিয়েছেন উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য।
রাত পোহালেই শুরু হচ্ছে ২০২৩-এর উচ্চমাধ্যমিক ও একাদশের বার্ষিক পরীক্ষা। উচ্চমাধ্যমিকে পরীক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ৮ লক্ষ ৫২ হাজার। একাদশ শ্রেণি মিলিয়ে প্রায় ১৮ লক্ষ। এবারেই প্রথমবার একটি প্রশ্নপত্র ও একটি উত্তরপত্রে পরীক্ষা দেবেন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা। নতুন এই ব্যবস্থায় উত্তরপত্র আগে থেকেই ছাপানো থাকছে। উত্তরপত্রের প্রথম পৃষ্ঠায় থাকছে এমসিকিউ-এর উত্তর লেখার জন্য নির্ধারিত জায়গা। এবং পরবর্তী দু’টি পৃষ্ঠায় নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে এসএকিউ-এর উত্তর লেখার জন্য। সংসদ সভাপতি বলেন, ‘‘উত্তর যথেষ্ট সংক্ষিপ্তভাবে লিখতে হবে। ঠিক যেটা জিজ্ঞেস করা হয়েছে সেটার উত্তর লিখতে হবে নির্দিষ্ট বক্সে। তাতে একটা বা দু’টো লাইনের বেশি লেখা যাবে না।’’ উত্তরপত্রের একটি নমুনা দেওয়া রয়েছে সংসদের ওয়েবসাইটে।
[আরও পড়ুন: অস্কারের মঞ্চে ঐতিহাসিক জয়, বেস্ট অরিজিনাল সং ‘RRR’ সিনেমার ‘নাতু নাতু’ গান]
মঙ্গলবার সকাল ১০ থেকে শুরু হবে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। চলবে দুপুর ১টা ১৫ পর্যন্ত। পরীক্ষার্থীদের হাতে সময় নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সংসদের তরফে। মোবাইল বা অন্যান্য বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতি নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের সময় পুলিশি নজরদারিতে কড়া ও কঠোরভাবে চেকিং করা হবে। পরীক্ষার ঘরে ঢোকার সময় পরীক্ষার্থীদের কাছে মোবাইল নেই, সেই সম্পর্কে নিশ্চিত হতে প্রয়োজনে আরেক দফা চেকিং করবেন ইনভিজিলেটররা। মোবাইল নেই নিশ্চিত হওয়ার পরেই প্রশ্নপত্র বিতরণ করবেন তাঁরা। প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে ১০টা ১৫-য়। পরীক্ষার এক ঘণ্টা অতিক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত শৌচালয়ে যাওয়ার অনুমতি মিলবে না।
উত্তরপত্র জমা দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারবেন ১২ টা ৪৫-এ। তার আগে চাইলেও পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে বেরোতে পারবেন না কোনও পরীক্ষার্থী। রবিবার কোন স্কুলের পড়ুয়াদের পরীক্ষাকেন্দ্র কোনটি, সেই তালিকা প্রকাশ করেছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। পরীক্ষার আগে পরীক্ষাকেন্দ্র যাচাই করে নিতে বলা হয়েছে পরীক্ষার্থীদের। মাধ্যমিকের মর্মান্তিক ঘটনার কথা মাথায় রেখে এবারও উত্তরবঙ্গ-সহ দক্ষিণবঙ্গের যে যেখানে হাতির আনাগোনা রয়েছে সেইসব এলাকায় পরীক্ষার্থীদের নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করবেন বনকর্মীরা।
এবারই প্রথম মোবাইল ধরতে ব্যবহার হবে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর। ২০৬টি পরীক্ষাকেন্দ্র স্পর্শকাতর হিসাবে চিহ্নিত। সেগুলির প্রত্যেকটিতে মেটাল ডিটেক্টরের ব্যবহার করা হবে। বেশ কয়েকটি পরীক্ষাকেন্দ্রে ব্যবহার করা হবে আরএফডি। যা জানান দেবে মোবাইল বা রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আদান-প্রদানকারী যে কোনও যন্ত্রের উপস্থিতি।