বিপ্লব চন্দ্র দত্ত,কৃষ্ণনগর: ভিডিও রেকর্ডিং করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়েই কি এই চরম সিদ্ধান্ত? উঠছে প্রশ্ন। ঘটনায় ছড়িয়েছে তীব্র চাঞ্চল্য।
ঘটনা নদিয়ার চাকদহ থানার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের ২ নম্বর রাধাকৃষ্ণপল্লীতে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী উদয় ভৌমিক (২১) চাকদহ পূর্বাচল বিদ্যাপীঠের ছাত্র। শুক্রবার সকালে তাঁকে ঘরের ভিতর থেকে গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে রেকর্ড করা ভিডিওটিও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: মডেলের বাড়িতে ‘হামলা’ প্রাক্তন স্বামীর, নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের]
উদয়রা তিন ভাই। তাঁদের মধ্যে ছোট উদয়। এলাকায় ভাল ছেলে বলে পরিচিত ছিলেন। তবে বেশ কিছু রোগে ভুগছিলেন উদয়। যে কারণে ১৮ বছর বয়সে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাও দিতে পারেননি। বৃহস্পতিবার রাতে খাওয়াদাওয়া করে দিব্যি উদয় নিজের ঘরে ঘুমাতে যান। কিন্তু শুক্রবার সকালে বাড়ির লোকজন ডাকাডাকি করার পরেও তাঁর সাড়া পাননি। উদয়ের দাদা উজ্জ্বল ভৌমিক জানান, “আমি এদিন সকালে ভাইকে ৮টা নাগাদ ডাকতে যাই। ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ থাকায় বেশ কয়েকবার ডাকাডাকি করি। কিন্তু দরজা না খোলার জন্য বাধ্য হয়েই দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকতে হয়। ঘরে ঢুকে দেখি, আমার ভাই গলায় ফাঁস লাগিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে। আমার ভাইয়ের সঙ্গে একটি মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। আমাদের ধারণা, সেই প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়েই সে আত্মহত্যা করেছে। তবে এটা আমরা মেনে নিতে পারছি না।”
পুলিশেরও প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়েই হয়তো আত্মহননের পথ বেছে নেন উদয়। তবে পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “এই কারণেই আত্মহত্যা করেছে ওই পরীক্ষার্থী, সেটা নিয়ে আমরা এখনও নিশ্চিত নই। কারণ ওই ছেলেটি শারীরিক দিক দিয়ে বেশ অসুস্থ ছিল। ব্রংকাইটিস জাতীয় বেশ কিছু রোগে ভুগছিল। রোগভোগের জ্বালা সহ্য করতে না পেরেও আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকতে পারে।” ৪ ঘণ্টার ভিডিও রেকর্ডিং দেখে আত্মঘাতী হওয়ার কারণ জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।