শেখর চন্দ্র, আসানসোল: গরু পাচার মামলার কিনারা করতে ইডি, সিবিআই জোরকদমে তদন্ত চালাচ্ছে। তবে তার মাঝেও থেমে নেই পাচারচক্র। এবার স্করপিওতে পাচারের সময় বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানায় আটক হল গাড়িবোঝাই গরু (Cows)। রবিবার মাইথন থানার পুলিশ গাড়িটিকে আটকায়। সেখান থেকে উদ্ধার হয় চারটি গরু। পাচারের জন্য গরুগুলিকে পশ্চিমবঙ্গে নিয়ে আসা হচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে।
সূত্র মারফত খবর পেয়ে রবিবার দুপুরে টহলদারির সময় ঝাড়খণ্ডের মাইথন থানার পুলিশ দু’নম্বর জাতীয় সড়কের উপর গাড়িটিকে আটকায়। কালো কাচে ঢাকা স্করপিও (Scorpio) গাড়ির দরজা খুলতেই চক্ষুচড়কগাছ পুলিশের। দেখা যায়, স্করপিওর ভিতর ঠাসাঠাসি করে গরুগুলিকে ঢুকিয়ে রাখা ছিল। চালকের পিছনের সমস্ত সিট খুলে দেওয়া হয়েছে। আর সেখানেই গরুগুলিকে একসঙ্গে বেঁধে রাখা ছিল। পুলিশ গাড়ি থেকে গরুগুলি উদ্ধারের সময় লক্ষ করে, একটি গরু মৃত। পশু চিকিৎসককে ডাকা হয়। বাকি গরুগুলির চিকিৎসা করে ধানবাদের (Dhanbad) কাতরাসের গোশালায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় গাড়ি চালক ও খালাসিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: মলয় ঘটক জোকার! যুব তৃণমূল নেতার পোস্টে অস্বস্তিতে আসানসোলের TMC শিবির]
জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের নম্বরপ্লেট লাগানো ওই গাড়িটি রাঁচি (Ranchi) এলাকার কোনও একটি হাট থেকে গরুগুলি কিনে পশ্চিমবঙ্গের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল পাচারের উদ্দেশে। তার আগেই মাইথন থানার পুলিশ ধরে ফেলে। এর মধ্যে তিনটি দুগ্ধজাত গরু ও একটি ছিল বলদ। পুলিশের দাবি, ওই গরুগুলিকে পালনের জন্য নয় অন্য উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
[আরও পড়ুন: পুজোয় জনসংযোগে সাফল্য! পুরুলিয়া-বাঁকুড়ায় সিপিএমের স্টলে বাড়ল বই বিক্রি]
এর আগে মাইথন থানার পুলিশ যে পার্সেল ভ্যানে গরু পাচার হচ্ছিল, তা উদ্ধার করেছিল। মাঝেমাঝেই নাকা চেকিং চালিয়ে গরুবোঝাই পিকআপ ভ্যান উদ্ধার করা হয়। তারও আগে পুরুলিয়ায় দুধের কন্টেনারে ভরে গরু পাচারের সময় উদ্ধার হয়। এবার আশ্চর্যজনকভাবে গরু পাওয়া গেল স্করপিও গাড়ির ভেতর।