সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চাল রপ্তানি বন্ধ করেছে ভারত (India)। সরকারের এই সিদ্ধান্তের পরই বিপাকে পড়েছেন আমেরিকার (USA) প্রবাসী ভারতীয়রা। জানা গিয়েছে, একসঙ্গে বিপুল পরিমাণ চাল কিনে নিজেদের বাড়িতে মজুত করতে চাইছেন তাঁরা। তার ফলে হুহু করে বাড়ছে নন বাসমতী চালের দাম। অনেক ক্ষেত্রে স্বাভাবিকের দ্বিগুণ দাম দিয়ে চাল কিনতে হচ্ছে বলেও শোনা গিয়েছে। এহেন পরিস্থিতি দেখে সকলেরই মনে পড়ে যাচ্ছে কোভিড অতিমারীর কথা। লকডাউনের সময়ে যেভাবে অতিরিক্ত খাদ্যদ্রব্য মজুত করে রাখতেন সাধারণ মানুষ, সেই ছবিই ফের ফিরে এসেছে মার্কিন মুলুকে।
বিশ্বের বৃহত্তম চাল রপ্তানিকারক দেশ ভারত। তারা চাল রপ্তানি (Rice Export) বন্ধ করলে গোটা বিশ্বে খাদ্যসংকট দেখা দেবে বলে ইতিমধ্যেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আইএমএফ-সহ একাধিক সংগঠন। আইএমএফের শীর্ষ আধিকারিক পিয়েরে-অলিভিয়ের গৌরিঞ্চাস বলেন, “ভারতকে এই সিদ্ধান্ত তুলে নিতে অনুরোধ করব আমরা। নচেত গোটা বিশ্বে এর খারাপ প্রভাব পড়বে।” আর্থিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, আমেরিকা, ব্রিটেন, কানাডার পাশাপাশি, পূর্ব ইউরোপে ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতেও খাদ্যসংকট দেখা দিতে পারে।
[আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে কাতার-কুয়েতের সঙ্গে ভারত, এশিয়ান গেমসে সুনীলদের গ্রুপে কারা?]
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একাধিক ভিডিওতে ধরা পড়েছে চাল কেনা নিয়ে আমেরিকার দুরবস্থা। দেখা যাচ্ছে, একসঙ্গে ১০-১৫ বস্তা চাল কিনছেন সেদেশে বসবাসকারী ভারতীয়রা। অরুণা নামে ওয়াশিংটনের এক বাসিন্দা বলেন, “প্রায় দশটা দোকান ঘুরেছি। সকাল ৯টা থেকে ঘুরে বিকেল চারটের সময়ে চাল কিনতে পারলাম। তাও একটা বস্তার তিনগুণ দাম দিতে হল।”
ক্রেতাদের পাশাপাশি বিপাকে পড়েছেন মার্কিন মুলুকের চাল বিক্রেতারাও। তরুণ সারদানা নামে বিক্রেতা জানিয়েছেন, “চাল কিনতে চেয়ে প্রচুর ফোন আসছে আমার কাছে। বিশেষ করে উইকএন্ডের সময় চাল কেনার চাহিদা খুব বেড়ে গিয়েছিল। আমাদের গুদামে যত চাল আছে সেই পরিমাণ চাল নিজের বাড়িতে কিনে জমা করতে চাইছেন ক্রেতারা।” বাসমতী চাল রপ্তানির ক্ষেত্রে এখনও কোনও নিষেধাজ্ঞা চাপায়নি কেন্দ্র। তা সত্ত্বেও বাসমতী চাল (Basmati Rice) কিনতেও লম্বা লাইন পড়ে যাচ্ছে বিদেশের দোকানগুলিতে।