সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অরণ্যবাসী মানুষ, যাদের আমরা আদিম মানুষ হিসেবেই চিনি, তাদের ‘সভ্য’ বয়ে ওঠার ব্যাপারটা একদিনে হয়নি। আদিম মানুষদের নিয়ে গবেষণায় আজও বিরাম নেই। উঠে আসছে নিত্যনতুন তথ্য। আর এবার মিলল এমন ‘প্রমাণ’ যার ভিত্তিতে বিজ্ঞানীরা দাবি করছেন, আদিম মানুষের মধ্যে সম্ভবত চল ছিল অন্য মানুষের মাংস খাওয়ার।
‘সায়েন্টিফিক রিপোর্টস’ নামের এক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই সংক্রান্ত এক গবেষণাপত্র। তা থেকে জানা যাচ্ছে, গবেষকরা উত্তর কেনিয়ায় প্রাপ্ত সাড়ে ১৪ লক্ষ বছর আগের একটি পায়ের হাড় পেয়েছেন। হাঁটুর নিচের অংশের সেই হাড়ে রয়েছে ৯টি আঘাতের চিহ্ন। একেই আদিম মানুষের (Early human) নরখাদক হওয়ার প্রাচীনতম প্রমাণ বলে দাবি করছেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: বিদ্রোহে রণে ভঙ্গ দিয়ে বেলারুশে প্রিগোজিন, রুশ সেনার প্রশংসায় পঞ্চমুখ পুতিন]
এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত অন্যতম গবেষক ব্রায়ানা পবিনার জানাচ্ছেন, ওই হাড়টিতে বাঘের কামড়ের দু’টি দাগ রয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে ৯টি আরও আঘাতের চিহ্ন, যেগুলি পাথরের অস্ত্রের সাহায্যে করা হয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে। অন্য পশুদের ফসিলেও এই ধরনের হাড়েই আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। যা থেকে অনুমেয়, ওই অংশের মাংসকে আলাদা করতেই ওখানে আঘাত করা হয়েছিল। ফলে ধারণা করাই যায়, নিজেদের মাংস খেত আদিম মানুষ।
তবে কেবল এইটুকুতেই এটা নিশ্চিত করে যে বলা যায় না, তাও মানছেন গবেষকরা। কিন্তু এই সূত্রকে ‘চমকপ্রদ ও বিস্ময়কর’ বলে দাবি করছেন তাঁরা। যদিও এই বিষয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসার আগে আরও গবেষণার প্রয়োজন বলেই মত তাঁদের। সবচেয়ে বড় কথা, যে খাচ্ছে ও যাকে খাচ্ছে, সেই দুই আদিম মানুষ একই গোত্রের কিনা সেটা জানা দরকার। তাহলেই এই বিষয়ে আরও নিশ্চিত সিদ্ধান্তের দিকে এগনো যাবে বলেই জানাচ্ছেন গবেষকরা।