shono
Advertisement

দেহ ব্যবসায়ীদের নিশানায় বাংলাদেশের কমবয়সি সুন্দরী মেয়েরা, পাচার করা হচ্ছে বিদেশে

রমরমিয়ে চলা এই ব্যবসায় লাগাম টানতে তৎপর হয়েছে প্রশাসন।
Posted: 02:33 PM Feb 15, 2022Updated: 02:33 PM Feb 15, 2022

সুকুমার সরকার, ঢাকা: দেহ ব্যবসায়ীদের নিশানায় বাংলাদেশের (Bangladesh) কমবয়সি মেয়েরা। নানা প্রলোভনে ফেলে তাদের পাচার করা হচ্ছে বিদেশে। দেশজুড়ে রমরমিয়ে চলা এই ব্যবসায় লাগাম টানতে তৎপর হয়েছে প্রশাসন। এবার পুলিশের জালে পড়েছে তিন কুখ্যাত মানব পাচারকারী।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ঢাকার ‘অমর একুশে’ বইমেলায় জঙ্গি হামলার আশঙ্কা, সতর্ক করল গোয়েন্দা বিভাগ]

রাজধানী ঢাকার বিমানবন্দর থানা থেকে আন্তর্জাতিক মানব পাচারকারী চক্রের তিন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার এবং তিন কিশোরীকে উদ্ধার করেছে বাংলাদেশের এলিট বাহিনী র‍্যাব। সোমবার রাজধানী ঢাকার উত্তরায় র‌্যাব-১ এর প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব-১-এর অধিনায়ক আবদুল্লা আল মোমেন এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, “বর্তমানে দেশে মানব পাচারের মত ঘৃণ্যতম অপরাধ থেমে নেই। মানব পাচারকারী চক্রের টার্গেট দরিদ্র মেয়েরা। পাচারকারীরা বিদেশে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে সহজ সরল নারী-পুরুষকে ফাঁদে ফেলে নিয়ে যাচ্ছে অন্ধকার জগতে।” তিনি আরও জানান, “পাচারকারীদের পাতা জালে জড়িয়ে অবৈধ পথে বিদেশ পাড়ি দিতে গিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছে অধিকাংশ নারী। এ নারীদেরকে বিদেশে লোভনীয় ও আকর্ষণীয় বিভিন্ন পেশায় চাকরির কথা বলা হলেও তাদেরকে বিক্রি করে দেওয়া হয় এবং জোরপূর্বক সম্পৃক্ত করা হয় ডিজে পার্টি, দেহ ব্যবসাসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে।”

র‍্যাব জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক মানব পাচারকারী চক্রের বিদেশি নাগরিক-সহ অসংখ্য মানব পাচারকারী চক্রের সদস্যকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছে। এসকল মানব পাচারকারী চক্রের নিকট হতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে র‍্যাব-১ গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে এবং সম্প্রতি রাজধানী ঢাকা-সহ বেশ কিছু এলাকায় মানব পাচারকারী চক্রের সন্ধান পাওয়া যায়। রবিবার রাতে র‍্যাব-১ ডিএমপির ঢাকা বিমানবন্দর থানার মনোলোভা রেস্টুরেন্টের কাছে অভিযান চালিয়ে আন্তর্জাতিক মানব পাচারকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য মহম্মদ আজিজুল হক (৫৬) ও মহম্মদ মোছলেমউদ্দিন ওরফে রফিক (৫০) এবং মহম্মদ কাউছারকে (৪৫) গ্রেপ্তার করে। এসময় তাদের কাছ থেকে ৩টি পাসপোর্ট, ৩টি মোবাইল ফোন, নগদ ২৭ হাজার টাকা ও তিন কিশোরীকে উদ্ধার করে।

ধৃত আবদুল্লা আল মোমেন জানায়, বর্তমানে দুবাইয়ে অবস্থানরত মহিউদ্দিন ও শিল্পীর পরিকল্পনা ও নেতৃত্বে এই ঘৃণ্য অপরাধ সংঘঠিত হচ্ছে। মহিউদ্দিনের সাথে বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গের যোগসাজসের প্রমাণ পাওয়া গেছে। পলাতক আসামি নূর নবী রানা ও মনজুর হোসেন মানব পাচারকারী চক্রের এ দেশীয় মূলহোতা। আজিজুল হক এই মানব পাচারকারী চক্রের অন্যতম সমন্বয়ক। আজিজুল হকের মাধ্যমে মহিউদ্দিন ভিকটিমনের বিদেশে যাওয়ার খরচের টাকা প্রেরণ করত।

পলাতক আসামি তাহমিনা বেগম এবং রফিক ও কাউছার কমবয়সি সুন্দরী মেয়েদের টার্গেট করত। অতঃপর বিভিন্ন কোম্পানি ও গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারক চক্রটি মেয়েদেরকে বিদেশ গমনে প্রলুব্ধ করে এবং কোন তরুণী বিদেশ যেতে রাজি না হলে হুমকি প্রদান করত। এছাড়া এই মানব পাচারকারী চক্র প্রবাসে গমনে ইচ্ছুক বহুবিধ পুরুষ ভিকটিম হতে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছে। আন্তর্জাতিক পাচারকারী চক্র প্রায় ৮০ জন নারীকে এভাবে বিদেশ পাচার করেছে বলে জানা যায়। পাচার হওয়া নারীদেরকে উদ্ধার এবং অন্যান্য অপরাধীদেরকে গ্রেপ্তার করতে র‍্যাব সচেষ্ট রয়েছে।

[আরও পড়ুন: দুই স্বামীর সঙ্গে চুটিয়ে সংসার! মহিলার কীর্তি ফাঁস হতেই তীব্র চাঞ্চল্য]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement