শাহজাদ হোসেন, জঙ্গিপুর: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বহরমপুর কেন্দ্রে কংগ্রেসের সম্ভাব্য প্রার্থী অধীররঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। এবার তাঁকে হারানোর জন্য ওই কেন্দ্রের প্রার্থী হতে চান ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। আর ফের প্রকাশ্যে মুখ খুলে দিদির কাছে ‘আবদার’ করে বসলেন তিনি! রবিবার বহরমপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে হুমায়ুন কবীর বলেন, “দিদি যদি আমাকে বহরমপুর কেন্দ্রে দলের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেন তাহলে আমি অধীররঞ্জন চৌধুরীকে দুলক্ষ ভোটে হারাব।”
প্রসঙ্গত, শুক্রবার কালীঘাটে (Kalighat) মুর্শিদাবাদ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের সময়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সঙ্গে হুমায়ুন কবীরের বাকবিতণ্ডা হয়। তৃণমূল সুপ্রিমো, হুমায়ুন কবীরকে সংবাদমাধ্যমে ‘অকারণ’ মুখ খুলতে বারণ করে দিয়েছেন বৈঠকে। যদিও সেই বৈঠক থেকে বেরিয়ে রবিবার পর্যন্ত হুমায়ুন কবীর সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দেওয়া বন্ধ করেননি।
[আরও পড়ুন: কমোড লাগবেই! জেলে অদ্ভুত ‘আবদার’ শংকরের]
নিজেকে তৃণমূল কংগ্রেসের অনুগত সৈনিক বলে দাবি করে হুমায়ুন কবীর এদিন বলেন, “অধীররঞ্জন চৌধুরী আমাদের দলনেত্রীকে অনেক কথা বলেছেন। বহরমপুরে তাঁর বিরুদ্ধে লড়তে আসার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন। অধীরবাবু আমাদের দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কেও অনেক বাজে বাজে মন্তব্য করেছেন। অভিষেক ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ রয়েছেন। এবারের নির্বাচনেও সেই কেন্দ্র থেকে কমপক্ষে চার লক্ষ ভোটে জিতবেন তিনি। অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২৬ সাল পর্যন্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন। তাই ওঁদেরকে বহরমপুর কেন্দ্রে লড়তে আসতে হবে না।”
[আরও পড়ুন: রামসেবায় দরাজহস্ত, ১০০১ কেজি চিনি আতপ চাল পাঠালেন সুকান্ত]
হুমায়ুনের আরও বক্তব্য, “পশ্চিমবঙ্গে যদি কংগ্রেস এবং তৃণমূলের জোট না হয় তাহলে দিদি আমাকে বহরমপুর কেন্দ্রে দলের প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করে দিক। আমি অধীর চৌধুরীকে গুনে গুনে দুলক্ষ ভোটে হারাব। তবে আমি তো নিজে থেকে দলের প্রার্থী হয়ে যেতে পারি না। এই সিদ্ধান্ত দলনেত্রীকেই নিতে হবে। উনি যদি আমাকে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেন, আমি লড়াই করার জন্য প্রস্তুত রয়েছি।” হুমায়ুনের এই দাবিতে রাজ্য রাজনীতি শোরগোল পড়ে গিয়েছে।