সুমন করাতি, হুগলি: বিয়ে হয় এক বছর আগে। পাত্রের দাবি মেনে ১০ লক্ষ টাকার পণও দেয় কন্যা পক্ষ। কিন্তু তাতে বর পক্ষ সন্তুষ্ট হয়নি! আরও টাকার দাবিতে নববধূর উপর চলতে থাকে অত্যাচার। এমটাই অভিযোগ কনে পক্ষের। বিষয়টি গড়ায় থানা পর্যন্ত। কিন্তু তার পরেও রেহাই মিলল না! শ্বশুরবাড়ি থেকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় উদ্ধার হল বধূর দেহ। ওই বধূর বাপের বাড়ির অভিযোগ আরও টাকা না দেওয়ায় মেয়েকে খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মৃত ওই বধূর নাম প্রীতি সিং। উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 parganas) হাজিনগরের বাসিন্দা তিনি। বছরখানেক আগে চন্দননগর (Chandangar) সুরেরপুকুর এলাকার বাসিন্দা মৃত্যুঞ্জয় সিংয়ের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। বধূর বাপের বাড়ির দাবি, বিয়ের সময় তাঁরা নগদ ও যৌতুক মিলিয়ে ১০ লক্ষ টাকা দেওয়ার পরও আরও টাকার দাবিতে প্রীতির উপর চাপ দিতেন স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা।
[আরও পড়ুন: ‘শাহজাহানের জুতো বয়ে নিয়ে যেত’, প্রচারে বেরিয়ে ফের পুলিশকে তোপ দিলীপের]
এমনকী প্রীতিকে মারধর করা হত বলেও অভিযোগ। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে থানার দ্বারস্থ হতে বাধ্য হন তাঁরা। পুলিশ দুপক্ষকে থানায় ডেকে বিবাদ মিটিয়ে নিতে বলে। সাময়িকভাবে ঝামেলা মিটলেও কয়েকদিন পর ফের অশান্তি শুরু হয়। এমনাবস্থায় শুক্রবার রাতে ওই বধূর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মেয়েকে খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দিয়েছে জামাই। চনন্দনগর থানায় অভিযোগ জানায় পরিবার। ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্ত যুবক মৃত্যুঞ্জয় সিংকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আদালতে তোলা হয়েছে অভিযুক্তকে। অন্যদিকে, বধূর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে চনন্দনগর থানা। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ অনেকটা পরিষ্কার হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।