সুকুমার সরকার, ঢাকা: তড়িঘড়ি আয়ের লক্ষ্যে পর্নোগ্রাফি (Pornography) তৈরির পরিকল্পনা। আর তার জন্য বন্ধুদের দিয়ে স্ত্রীকে ধর্ষণ করানোর মতো মারাত্মক অভিযোগ। শোরগোল বাংলাদেশের (Bangladesh) উত্তরের জেলা রাজশাহীতে। গৃহবধূর অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
রাজশাহীর চন্দ্রিমা থানা এলাকায় এক ব্যক্তি তড়িঘড়ি অর্থ আয়ের জন্য পর্নোগ্রাফি বানানোর দিকে ঝুঁকে পড়ে। এর জন্য নিজের স্ত্রীকেই (Wife) টার্গেট করে সে| এরপর চার বন্ধু মিলে ধর্ষণ করে। এ কাণ্ড ঘটার পর ভুক্তভোগী গৃহবধূ বৃহস্পতিবার চন্দ্রিমা থানায় স্বামী-সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ওসি জানান, সব আসামিকে গ্রেপ্তারের পর তাদের নাম প্রকাশ করা হবে।
[আরও পড়ুন: ফের স্থগিত ডিএ মামলার শুনানি, অপেক্ষা আরও বাড়ল সরকারি কর্মীদের]
চন্দ্রিমা থানার ওসি মাহবুব আলম জানান, মহানগরীর শিরোইল কলোনি হাজরাপুকুর এলাকায় স্বামীকে নিয়ে দেড় মাস ধরে ভাড়া বাড়িতে ভাড়া থাকেন ওই গৃহবধূ। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে গিয়ে তিনি বিস্তারিত সব জানিয়েছেন। জানান, ঘটনার দিন জোর করে তাঁকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ান স্বামী। পরে ওই রাত ৯টার দিকে কফির সঙ্গে আবারও ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হয় তাঁকে। অচেতন হয়ে পড়েন ওই গৃহবধূ। অভিযোগ, এরপর গভীর রাতে স্বামী-সহ পাঁচজন মিলে ওই গৃহবধূকে তাদের ভাড়া বাড়িতে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের সম্পূর্ণ ভিডিও মোবাইল ফোনে তোলা হয়। ভোরের দিকে তাঁর অবস্থা বেগতিক হলে তাকে তেঁতুল খাওয়ানোর চেষ্টা করে ধর্ষকরা। পুলিশের ওই আধিকারিক আরও বলেন, এক পর্যায়ে গৃহবধূর জ্ঞান ফিরে আসে। পুরো বিষয়টি টের পান তিনি। এ সময় এই ঘটনা কাউকে বলে দিলে ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল (Viral) করে দেওয়া হবে বলে ভয় দেখানো হয় ওই গৃহবধূকে। ভয়ে ওই গৃহবধূ চুপ থাকেন। কিন্তু ওই ভিডিও দিয়ে পর্নো সিনেমা তৈরি করা হয়। আর সেটি দেখিয়ে আবারও একই কাজের জন্য হুমকি দিলে গৃহবধূ বৃহস্পতিবার থানায় গিয়ে স্বামীসহ ওই পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দেন।
[আরও পড়ুন: NCP ভাঙার ‘পুরস্কার’, মহারাষ্ট্রের ৭ গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর অজিত পওয়ার শিবিরকে]
পরে ভিডিও ভাইরাল (Video Viral)করে দেওয়ার ভয় দেখানো হয়। তবে স্বামীর ভয়ে এতদিন প্রকাশ করেননি তিনি। কিন্তু পর্নো ছবি করে সেটি দিয়ে অব্যাহত হুমকির কারণে তিনি অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। এতে বাধ্য হয়ে বৃহস্পতিবার থানায় গিয়ে ওই অভিযোগ দায়ের করেন। ওসি মাহাবুব আলম বলেন, থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ওই নারীকে পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর গ্রেপ্তারের পর আসামিদের নাম প্রকাশ করা হবে।