সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শাশুড়ির দেখভাল করেন স্বামী। দেশে ফিরলেই নিজের মাকে সময় দেন তিনি। এমনকী প্রয়োজনে আর্থিক সাহায্যও করেন। এই অভিযোগে মুম্বইয়ের (Mumbai) একটি আদালতে গার্হস্থ্য হিংসার মামলা করেছিলেন এক মহিলা। বুধবার ওই অভিযোগ খারিজ করে দিল আদালত। বিচারক জানিয়ে দিলেন, মাকে দেখভাল কখনই গার্হস্থ্য হিংসার মধ্যে পড়ে না।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, মামলা করেছিলেন একজন চাকরিরতা শিক্ষিত গৃহবধূ। মুম্বইয়ের একটি সরকারি অফিসের পদস্থ অধিকারিকও তিনি। মহিলা অভিযোগ করেন, তাঁর স্বামী কর্মসূত্রে ১৯৯৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০০৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বিদেশে ছিলেন। ওই সময় দেশে ফিরলেই নিজের মাকে সময় দিতেন তিনি। মাকে দেখতে যেতেন, প্রতি বছর ১০ হাজার টাকা পাঠাতেন। একবার মায়ের চোখের অপরেশনের জন্যও টাকা দিয়েছেন। এর পাশাপাশি তাঁর উপর শাশুড়ি গার্হস্থ্য হিংসা চালিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন। মহিলার আরও দাবি, তাঁর কাছে মায়ের মানসিক অসুস্থতা লুকিয়েছিল স্বামী, চাকরি করেন বলে অশান্তি করতেন শাশুড়ি ও স্বামী।
[আরও পড়ুন: সন্দেশখালিকে উত্তপ্ত করতে ‘নন্দীগ্রাম মডেল’! বিজেপির ষড়যন্ত্র ফাঁস করে অডিও প্রকাশ কুণালের]
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, শাশুড়ির বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ আনলেও এই সংক্রান্ত তথ্যপ্রমাণ দিতে পারেননি মহিলা। অন্যদিকে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শাশুড়ি ও স্বামী। পালটা মামলকারী মহিলার বিরুদ্ধে না জানিয়ে ব্যাঙ্ক থেকে কয়েক লক্ষ তোলার অভিযোগ উছেছে। সব পক্ষের কথা শোনার পরেই মামলা খারিজ করে দেয় আদালত। পাশাপাশি বিচারক আশিস আয়াচিত মন্তব্য করেন, “মায়ের দেখভাল করা যে কোনও সন্তানের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। এটাকে গার্হস্থ্য হিংসা বা দাম্পত্য হিংসা বলা যায় না।”