সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির জল গড়িয়েছে অনেক দূর। গ্রেপ্তারি-জেরা-সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত তো এখন প্রায় রোজকার ঘটনা। অবৈধভাবে নিয়োগের আতঙ্ক এতটাই জাঁকিয়ে বসেছে যে শিক্ষক-শিক্ষিকারা এখন কথায় কথায় নিয়োগের সাল উল্লেখ করছেন। ঠিক যেমনটা করেছেন বারাসতের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের এক কাউন্সিলরের স্বামী। আর তাঁর সেই ফেসবুক পোস্ট ঘিরে নেটদুনিয়ায় হাসির রোল। ব্য়াপারটা কী?
ব্যাপারটা অতি সামান্য। বারাসতের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চৈতালি ভট্টাচার্য। পেশায় শিক্ষিকা। উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকদের জন্য অশ্বিনী পল্লী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে দু’টি বিশ্রামস্থল তৈরি করে দিয়েছেন কাউন্সিলর। সেই উদ্যোগের কথা ফেসবুক পোস্ট করে জানিয়েছেন কাউন্সিলরের স্বামী সজল ভট্টাচার্য। মজার বিষয় হল, পোস্টে কাউন্সিলরকে শিক্ষিকা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন ২০০৬ সালে নিয়োগ। অর্থাৎ বাম আমলে নিয়োগ। যা দেখে নেটিজেনের প্রশ্ন, নিয়োগের স্বচ্ছতা বোঝাতেই কি এই তথ্য জুড়ে দিয়েছেন নির্দল কাউন্সিলরের স্বামী? নাকি শাসকদলকে খোঁচা দেওয়ার চেষ্টা?
[আরও পড়ুন: মুশকিল আসান অভিষেক! এক ফোনে রাতেই বিদ্যুৎ ফিরল ঝড়ে বিপর্যস্ত ৩ জেলায়]
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি ঘিরে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। ইতিমধ্যে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা ব্যক্তি গ্রেপ্তার হয়েছে। সামনে আসছে, কীভাবে টাকার বিনিময়ে নম্বর বাড়িয়ে অযোগ্যদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মান-সম্মান নিয়ে টানাটানি হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে নিজেদের সামাজিক সম্মান বাঁচাতে নিয়োগের সাল উল্লেখ করে দিচ্ছেন তাঁরা। যাতে তাঁদের নিয়োগ ঘিরে প্রশ্ন না ওঠে।