শাহজাদ হোসেন, ফরাক্কা: পঞ্চায়েতের সাধারণ সভা চলাকালীন প্রধানের স্বামীকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় ফরাক্কা ব্লকের নয়নসুখ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। পরে জনরোষের চাপে পড়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অঞ্চল সভাপতিকে। বিষয়টি নিয়ে ফরাক্কা থানা ও ফরাক্কার বিডিও দারস্থ হয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান সুলেখা মণ্ডল-সহ সদস্যরা। ইমরান আলি-সহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে গণ পদত্যাগের হুমকিও দিয়েছেন প্রধান-সহ গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৩ সদস্য। এ প্রসঙ্গে ফরাক্কা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অরুণ দাসের সাফাই, “বাচ্চা ছেলে। ভুল বোঝাবুঝির জন্য এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।”
ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার সকালে নয়নসুখ গ্রাম পঞ্চায়েতে। নয়নসুখ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুলেখা মণ্ডল অভিযোগ করেন, “এদিন সকালে গ্রাম পঞ্চায়েতের সাধারণ সভা চলছিল। সেই সভায় আমার প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আমার স্বামী হৃদয় মণ্ডল। সভা চলাকালীন নয়নসুখ অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি ইমরান আলি সাধারণ সভায় আসেন।” তিনি আরও বলেন, “আমার স্বামী নিয়ম মেনে ইমরানকে বলেন, আপনি পঞ্চায়েতের এসি রুমে গিয়ে বসুন, সভা শেষ হলে আপনাকে ডেকে নেওয়া হচ্ছে। এই কথা শুনে অঞ্চল সভাপতি সভাস্থল থেকে চলে যান। মিনিট দশেক পর ইমরান কয়েকজন অনুগামী নিয়ে সভাস্থলে এসে চিৎকার শুরু করেন।” অভিযোগ, পঞ্চায়েত সদস্য ও কর্মীদের সামনে প্রধানের স্বামী হৃদয় মণ্ডলকে জামার কলার ধরে টানাটানি ও মারধর করা হয়।
[আরও পড়ুন: ৫-১১ মার্চের Horoscope: কেমন কাটবে দোল? রাশিফল মিলিয়ে জেনে নিন কী রয়েছে আপনার ভাগ্যে]
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। তাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। ফরাক্কার বিডিও ও থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ জানানো হয়। তার ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পাশাপাশি ফরাক্কা ব্লক তৃণমূল সভাপতি অরুণময় দাস ও বিধায়ক মণিরুল ইসলামকে জানান হয়েছে। এদিকে অবিলম্বে অঞ্চল সভাপতিকে সরানোর দাবি জানিয়েছেন পঞ্চায়েত সদস্যরা। না হলে পঞ্চায়েত সদস্যরা গণ ইস্তফা দেবে হলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: অভিজাত আবাসনে আগুন, নাকতলায় ঝলসে মৃত্যু ১টি বিড়াল ও ৮টি কুকুরের]