সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জমি কেলেঙ্কারি মামলায় দীর্ঘ ৫ মাস জেলবন্দী থাকার পর অবশেষে মুক্তি পেলেন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren)। বিকেলে জেল মুক্তির পর সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কড়া সুরে আক্রমণ শানিয়ে হেমন্ত বললেন, "মিথ্যা মামলায় ষড়যন্ত্র করে ফাঁসিয়ে আমাকে ৫ মাস ধরে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছিল।"
শুক্রবার ঝাড়খণ্ড আদালত হেমন্তকে জামিন দিতেই বিকেলে রাঁচির বিরসা মুন্ডা জেলের বাইরে ভিড় জমে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার সমর্থকদের। জেলের বাইরে উপস্থিত ছিলেন হেমন্তের স্ত্রী বিধায়ক কল্পনা সোরেন। জেল থেকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বের হতেই তাঁর নামে জয়ধ্বনি দিতে থাকেন সমর্থকরা। সেখানেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কড়া সুরে বলেন, 'শাসকদলের বিরুদ্ধে যারাই আওয়াজ তুলছে বেছে বেছে জেলে পাঠানো হচ্ছে তাঁদের। বিচার ব্যবস্থার গতি এতই ধীর যে দিন কিংবা মাস নয়, ন্যায় পেতে বছরের পর বছর লেগে যাচ্ছে। যারা দেশ ও সমাজের উন্নতির লক্ষ্যে কাজ করছে তাঁদের টার্গেট করা হচ্ছে।' পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, 'আজ দেশের জন্য এটা একটা বার্তা কীভাবে বিরোধীদের ষড়যন্ত্র করে তাঁদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। তবে যে লড়াই আমরা শুরু করেছি এবং যে সংকল্প নিয়েছি তা পূরণ করার লক্ষ্যে কাজ করে যাব আমরা।'
জমি দুর্নীতিতে আর্থিক তছরুপের মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করেছিল ইডি। রাঁচিতে ৮.৮৬ একর জমি বেআইনিভাবে দখল করার অভিযোগ রয়েছে হেমন্তের বিরুদ্ধে। জমি দুর্নীতি ও আর্থিক তছরুপের অভিযোগে হেমন্তকে গ্রেপ্তার করেছিল ইডি (ED)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে যাওয়ার আগেই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন জেএমএম নেতা। তার পর থেকে একাধিকবার তাঁর মামলার শুনানি হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha 2024) দিন ঘোষণার পর থেকেই তাঁর আর্জি ছিল, ভোটপ্রচার করার জন্য অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হোক। কিন্তু সেই আর্জি নাকচ করে দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। এর পর শীর্ষ আদালত থেকে আবেদন প্রত্যাহার করে নেন হেমন্ত। অবশেষে ৫ মাস পর শুক্রবার জামিন পান ঝাড়খণ্ড আদালতে জামিন পান তিনি।
[আরও পড়ুন: ভুল ইঞ্জেকশনে মৃত্যু নমাসের অন্তঃসত্ত্বার! পলাতক অভিযুক্ত ২ ভুয়ো চিকিৎসক]
এদিকে চলতি বছরের শেষেই ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে হেমন্ত সোরেনের মুক্তি ঝাড়খণ্ডের শাসকদল জেএমএমের কাছে যে বড় স্বস্তির তা বলার অপেক্ষা রাখে না। জমি কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার হওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren)। হেমন্তের পর ঝাড়খণ্ডের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হন চম্পাই সোরেন।